থমথমে জলঙ্গি, ময়নাতদন্তে উঠে আসছে উদ্বেগের প্রশ্ন

বুধবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেবনগরে এন আর সি ইস্যুতে বনধকে ঘিরে সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু। অভিযোগ নাগরিক মঞ্চের ডাকা বনধের বিরোধিতা করছিল স্থানীয় তৃণমূল। সেখানেই সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে থমথমে এলাকা।

এর ময়নাতদন্তে উঠে আসছে উদ্বেগের ছবি।

1) শাহিনবাগ থেকে 29 জানুয়ারি বনধ ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সরস্বতীপুজোর দিন এই বনধের ডাক আদৌ যুক্তিসম্মত?

2) জলঙ্গিতে ‘নাগরিক মঞ্চ’ করছে কারা? যেখানে তৃণমূল নিজেই এন আর সির বিরোধিতা করছে, সেখানে মূলত সংখ্যালঘুরা হঠাৎ নতুন মঞ্চে যাওয়ার প্রবণতা কীসের ইঙ্গিত। পিছনে কারা? হায়দরাবাদের সংগঠন?

3) স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি তহিরুদ্দিনের সঙ্গে বাকিদের স্থানীয় বিবাদ কীসের ইঙ্গিতবাহী?

4) অভিযোগ তহিরুদ্দিন বনধ ভাঙতে যান। জনতা ঘিরে ফেলে। গাড়ি নিয়ে পিছু হঠার সময় গাড়ি থেকে গুলি চলে। জনতার তরফ থেকেও গুলির অভিযোগ আছে। তাহলে, সব মিলিয়ে ঐ এলাকায় এত অস্ত্রমজুত কেন? পুলিশ কী করছিল?

5) সংখ্যালঘু এলাকাতেই যদি তৃণমূল এইভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তাহলে এই প্রবণতা তারা ঠেকাবে কী করে?

6) অভিযোগ, বাম, কং আর মিম গ্রামবাসীদের একাংশকে প্রভাবিত করেছে। প্রশ্ন হল তাহলে তৃণমূল আর প্রশাসন কী করছিল? গোয়েন্দারিপোর্ট বা প্রশান্ত কিশোরের বাহিনী কি কিছুই ইঙ্গিত দিতে পারে নি?

Previous articleশীত পেরলেই নিরাপদ দেশবাসী! করোনা শেষ গরমে
Next articleKMC vote 131: শোভনের আঁতুর ঘরে ঘাসফুলের প্রার্থী এবার রত্না?