অপরাধ করতে দিয়ে অপরাধীকে গ্রেফতার করে তদন্ত? কেমন প্রহসন!

পুলিশের সামনেই গুলি। পিছনে এক ডজন পুলিশ। তবু এক তরুণ গুলি চালালো। লাগলো পড়ুয়ার হাতে! আর দর্শক পুলিশ। খোদ রাজধানীর বুকে। তারপরেও পুলিশ বলছে ঘটনার তদন্ত হবে! দিল্লি পুলিশের ন্যক্কারজনক এই আচরণে নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। জেএনইউ থেকে জামিয়া মিলিয়া। জামিয়াতে আক্রমণকারী ছিল পুলিশ। আর এবার জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর এই প্রকাশ্য হামলা এক বিজেপি ভক্ত তরুণের। এবার সেই পুলিশই দর্শকের ভূমিকায়। মুখে শাহিনবাগ বিরোধী, এনআরসির স্বপক্ষে স্লোগান। এরপরও তদন্ত! কেজরিওয়াল থেকে কংগ্রেস বলছেন, সবটাই প্রহসন, আই ওয়াশ।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাই যথার্থই বলেছেন, এইভাবে প্ররোচনা দিলে এই ঘটনা আরও ঘটবে। রাহুল গান্ধী বলছেন নরেন্দ্র মোদি আর নাথুরাম গডসে একই মুখ। যে পুলিশ রিভলভার হাতে তরুণকে ধরতে পারে না, তারাই গুলি ঘটনার পর পড়ুয়াদের ধরণা তুলতে যেভাবে তৎপর ও আটক পর্ব চালালো তা লজ্জাজনক।

ঠিক একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের জলঙ্গিতে পুলিশের উপস্থিতিতে গুলি চালালো অভিযুক্ত শাসক দলের নেতা এবং মৃত্যু হলো দু’জনের, তাতে একই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। দিল্লিতে অপরাধী জালে। জলঙ্গিতে কেন এখনও অপরাধী জালে ধরা পড়েনি, সে প্রশ্ন তুলেছেন সুজন চক্রবর্তী ও অধীর চৌধুরী সহ বিরোধী নেতারা। বিরোধীদের বক্তব্য, এই মিছিল তো এনআরসি বিরোধী ছিল। তাহলে এই হামলা কেন?

Previous articleমুখ খুলেও মোদির কথায় নেই গুলি কাণ্ডের কথা!
Next articleসংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় হট্টগোল