নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বিদেশের মাটিতে ৫-০ সিরিজ পকেটে ভরলো ভারত

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ তে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বিদেশের মাটিতে সিরিজ পকেটে ভরলো ভারত। অধিনায়ক কোহলি ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। তাঁকে বিশ্রাম দিয়েই রবিবার মাঠে নেমেছিল ভারত। বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে এই ফরম্যাটে কোনও সিরিজ জিতল বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের রেকর্ড গড়ল নীল জার্সিধারীরা।জয়ের অন্যতম নায়ক অবশ্যই জশপ্রীত বুমরা। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি নিলেন তিন উইকেট। তিনিই ম্যাচের সেরা। নবদীপ সাইনি নিলেন দুই উইকেট। দিলেন ২৩ রান। শার্দুল ঠাকুরও নিলেন দুই উইকেট। তবে দিলেন ৩৮ রান। বোলারদের দাপটেই ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। এদিনের জয়ের অন্য তাৎপর্যও রয়েছে। বিরাট কোহলি বিশ্রাম নেওয়ায় অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু পায়ে টান ধরায় তিনি ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে নামতে পারেননি। ফলে ভারতকে নেতৃত্ব দেন লোকেশ রাহুল। তাঁর নেতৃত্বেই এল এই দুর্দান্ত জয়। এই সিরিজের সেরাও হয়েছেন রাহুল।

রান তাড়ায় একসময় সুবিধাজনক জায়গাতেই ছিল হোম টিম। ১২ ওভারে তিন উইকেটে ১১৩ ছিল স্কোর। হাতে সাত উইকেট নিয়ে ৪৮ বলে করতে হত ৫১ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই সেট ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্ট ও রস টেলর। কিন্তু সেখান থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়ল তারা। আর ভারতীয় দল দেখাল কী ভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মরিয়া লড়াই চালানো যায়। রান তাড়ার গোড়াতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউয়িরা। ১৭ রানের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল তিন উইকেট। প্রথমে মার্টিন গাপ্টিলকে (ছয় বলে ২) এলবিডব্লিউ করেছিলেন জশপ্রীত বুমরা। পরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদল করেন আম্পায়ার। এর পর ওয়াশিংটন সুন্দর বোল্ড করেছিলেন কলিন মুনরোকে (ছয় বলে ১৫)। ১৭ রানে পড়েছিল দ্বিতীয় উইকেট। ওই রানেই পড়েছিল তৃতীয় উইকেটও। রান আউট হয়েছিলেন টম ব্রুস (তিন বলে ০)।রস টেলর-টিম সেইফার্ট জুটি চতুর্থ উইকেটে এর পর যোগ করলেন ৯৯ রান। তার মধ্য়ে দশম ওভারে শিবম দুবের থেকেই ৩৪ রান নিলেন দু’জনে। কিন্তু সেইফার্ট ফিরতেই নামল ধ্বস।

এটা ছিল রস টেলরের কেরিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি। পঞ্চাশে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেইফার্ট। যা এসেছিল ২৯ বলে। শেষ পর্যন্ত নবদীপ সাইনির বলে ৫০ রানে আউট হলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। পরের ওভারেই ফের আঘাত হেনেছিল ভারত। জশপ্রীত বুমরার দুরন্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল (চার বলে ২)। ১১৯ রানে পড়েছিল পঞ্চম উইকেট।

রস টেলর অবশ্য একদিক ধরে রেখেছিলেন। ৪২ বলে পৌঁছেছিলেন পঞ্চাশে। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টানছিলেন তিনি। শেষ পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৪২ রান। সেটাই দাঁড়াল ২৪ বলে ৩৫ রানে। ১৭তম ওভারের শুরুতে শার্দুল ঠাকুরকে মারতে গিয়ে মণীশ পাণ্ডেকে ক্যাচ দিলেন মিচেল স্যান্টনার (৬)। স্কট কুগলেজেন (০) এর পর ফিরলেন দ্রুত। শার্দুলের ওভারেই ক্যাচ দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে।পরের ওভারেই মোক্ষম আঘাত। নবদীপ সাইনির বাইরের বলে চালাতে গিয়ে খোঁচা দিলেন রস টেলর। সহজ ক্যাচ ধরলেন লোকেশ রাহুল। ৪৭ বলে ৫৩ করে তিনি ফিরতেই ভারতের ৫-০ নিশ্চিত হল।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ভারত। সিরিজে প্রথমবার টস জিতল ভারত, মুম্বইকরের নেতৃত্বেই। রোহিত এসেছিলেন কোহালির জায়গায়। নিউজিল্যান্ড দলে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

Previous articleনৃশংস! ফের পঞ্চাশের এক মহিলাকে ‘ধর্ষণ’ করে ‘খুন’
Next article১৮ সাংসদ পেয়েও বাংলার প্রত্যাশা-পূরণে বিজেপি ব্যর্থ, কণাদ দাশগুপ্তের কলম