বারবার আন্দোলনের সামনে গুলি কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা না পরিকল্পিত, উঠছে প্রশ্ন

এটা কি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদকে ভন্ডুল করার পরিকল্পিত কৌশল? নাকি আদতে বিচ্ছিন্ন ঘটনাই? প্রশ্নটা উঠে গেল জামিয়া আর শাহিনবাগের দুটি ঘটনার পর। যাতে মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি বিক্ষোভস্থলের সামনেই চলল গুলি এবং দুই ক্ষেত্রেই আক্রমণকারীদের মুখেই শোনা গিয়েছে কট্টর হিন্দুত্বের পক্ষে শ্লোগান। এত কম সময়ের ব্যবধানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ সভার সামনে প্রায় একই কায়দায় গুলিচালনা কি কাকতালীয় হওয়া সম্ভব? তার চেয়েও মারাত্মক হল, দিল্লি ভোটের আগে বড় কোনও রাজনীতির ঘুঁটি হিসাবে এইসব কান্ড ঘটানোর জন্য কমবয়সী ছেলেদের ব্যবহার করা হচ্ছে না তো? না হলে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র বা যুবকের হাতে পিস্তল,গুলি আসছে কীভাবে? প্রতিবাদ দমনের নামে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের যদি পরিকল্পিত রাজনৈতিক চিত্রনাট্যের অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে তা শুধু প্রতিবাদযোগ্যই নয়, এরপর দমে না গিয়ে আরও ব্যাপক হওয়া উচিত সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ। একই ইস্যুতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া আর শাহিনবাগে গুলির ঘটনা রাজধানীর নিরাপত্তার যে ছবিকে বেআব্রু করল এবং কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিসের অপদার্থতাকে প্রকাশ্যে আনল তার জবাব গেরুয়া শিবিরকে পেতে হবে দিল্লি বিধানসভা ভোটে। চোরাগোপ্তা আন্দোলন দমনের কৌশল বিজেপির জন্য বুমেরাং হবে।

আরও পড়ুন-প্রবল সংঘাতের আবহাওয়ার মধ্যে রাজ্যপালের কাছে পার্থ

Previous articleদ্বিতীয় বিমানে ফিরলেন ৩২৩জন
Next articleসরস্বতী পুজোয় অনাবিল আনন্দে মাতল ‘খোঁজ: দ্য মিলিনিয়াম ডান্স ট্রুপ’