একপেশে ম্যাচে পাক বধ করে ফাইনালে ভারত

একেবারে হিসেব কষে দলকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও দিব্যাংশ সাক্সেনা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৩। সেখানে তাড়াহুড়ো করার দুরন্ত শতরান করলেন যশস্বী। ১১৩ বলে অপরাজিত থাকলেন ১০৫ রানে। ইনিংসে রয়েছে আটটি চার ও পাঁচটি ছয়। ছয় মেরে শতরান পূর্ণ করার পাশাপাশি উইনিং স্ট্রোকও এল যশস্বীর ব্যাট থেকেই।

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সামনে ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। পাক শিবির থেকে বলা হয়েছিল, আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছি ভারত ম্যাচ। বরং একপেশে ম্যাচ হল পোচেস্ট্রমে!‌
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জুনিয়র পাক দল। কিন্তু ভারতের তরুণ বোলারদের সামনে কখনোই সুবিধা করতে পারেনি ফাহাদ মুনির, কাসিম আক্রামরা। লড়েছেন একমাত্র হায়দার আলি (‌৫৬)‌ ও অধিনায়ক রোহেল নাজির (‌৬২)‌। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় কখনোই দানা বাঁধেনি পাক ইনিংস। চেষ্টা করেছিলেন হায়দার আলি ও রোহেল নাজির। কিন্তু যশস্বীর বলে হায়দার ফিরতেই চাপে পড়ে যায় পাক। অন্যদিকে রোহেলকে ফেরান সুশান্ত মিশ্র। মহম্মদ হ্যারিসের (‌২১)‌ চেষ্টাও ছিল সাময়িক। ভারতীয় বোলারদের দাপটে পাকিস্তান শেষ ছয় উইকেট হারায় মাত্র ২৭ রানে। ৪৩.‌১ ওভারে ১৭২ রানে শেষ হয়ে যায় পাক ইনিংস। ভারতীয়দের মধ্যে সেরা সুশান্ত মিশ্র। তাঁর বোলিং গড় ৮.‌১–০–২৮–৩।
জবাবে ১০ উইকেটে পাক বধ করে ভারত চলে গেল ফাইনালে। যশস্বীর সঙ্গে দিব্যাংশ সাক্সেনার খেললেন ৯৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। ছয়টি চার মারলেন সাক্সেনা। খেলা শেষ হয়ে গেল ৩৫.‌২ ওভারেই। ভারত তুলল বিনা উইকেটে ১৭৬। কোনও পাক বোলারকেই রেয়াত করেননি ভারতের দুই ওপেনার।