শেষ বেলায় সব ছেড়ে শাহিনবাগ নিয়ে পড়েছে বিজেপি

আর কয়েক ঘণ্টা পর প্রচার শেষ হবে। ভোট ৮ ফেব্রুয়ারি। দিল্লি বিধানসভা ভোটে সব ইস্যু ছেড়ে এখন শুধু শাহিনবাগ নিয়েই পড়েছে বিজেপি। জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে যতটা ভোট নিজেদের দিকে টানা যায়! আর সেই লক্ষ্যে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের দেশবিরোধী তকমা দিয়ে তাদের মদত দেওয়ার অভিযোগে ‘ভিলেন’ বানানোর চেষ্টা আমআদমি পার্টিকে। কংগ্রেস যেহেতু কার্যত অপ্রাসঙ্গিক এবারের নির্বাচনে, তাই তাদের ছেড়ে আপই এখন গেরুয়া শিবিরের মাথাব্যথার কারণ। কিন্তু আপকে বিঁধতে শাহিনবাগের ইস্যু ব্যবহার করতে গিয়ে বেনজির কান্ডকারখানা ঘটছে। একে তো শাহিনবাগে গুলি চালিয়ে ধৃত যুবক কপিলের পরিচয় নিয়ে নানা দাবি উঠছে, তার উপর বিজেপির হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তরুণী গুঞ্জা কাপুরের বোরখা পরে শাহিনবাগের ধরনায় হাজির হওয়া নিয়ে চাপানউতোর। সবমিলিয়ে শাহিনবাগই দিল্লি ভোটের আগে রকমারি আলোচনার কেন্দ্রে।

শাহিনবাগের গুলিকান্ডে ধৃত কপিলকে আপ সদস্য বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিস ও বিজেপি। কপিলকে আপের মঞ্চে টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং, এমন ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যদিকে সেই দাবি উড়িয়ে অভিযুক্ত কপিলের বাবা জানান, তাঁরা মোদির সমর্থক। বাবার দাবি, কপিল মোদি ও অমিত শাহের ভক্ত এবং হিন্দুস্তান ও হিন্দুত্বের সমর্থক। কপিল নিয়ে ধন্ধ কাটার আগেই জনৈক গুঞ্জা কাপুরকে ঘিরে চাঞ্চল্য শাহিনবাগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদি সরকারের পক্ষে প্রচার করেন গুঞ্জা। শুধু বিজেপি সমর্থকরাই নন, তাঁকে ট্যুইটারে ফলো করেন স্বয়ং মোদিও। সেই গুঞ্জাই কয়েকদিন ধরে বোরখা পরে বসছিলেন শাহিনবাগের ধরনায়। শাহিনবাগে শুধু মুসলিম মহিলারাই নন, অংশ নিচ্ছেন হিন্দু মহিলারাও। সেখানে হঠাৎ বোরখা পরে গুঞ্জা কাপুরের উপস্থিতি রহস্য বাড়িয়েছে। শাহিনবাগের ধরনাস্থলের অনেকেরই অভিযোগ, বোরখা পরে তিনি ভিডিও করছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির আইটি সেলের যোগ দেখছেন অনেকেই।

Previous articleতবু তো আঠারো হাল ছাড়ে না, তবু তো কোনও কোনও চারাগাছ বড় হয়, কুণাল ঘোষের কলম
Next articleমার্কিন কংগ্রেসে আনা ইমপিচমেন্টে জিতলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই