বাংলার রাজ্যপাল একটু বেশি বিদ্বান, বাজেট ভাষণ প্রসঙ্গে ধনকড়কে কটাক্ষ চন্দ্রিমার

আগামীকাল, অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় রাজ্য বাজেট অধিবেশনে শুরু। সেখানে রীতি মেনে ভাষণ দেন রাজ্যপাল। এটা সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পশ্চিমবঙ্গেও এবার তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে ইতিবাচক কথা হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। অন্তত তেমনটাই দাবি, রাজ্যপালের। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং পরিষদীয় মন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজবনেও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মুখ্য সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে রাজ্যপালের।

রাজ্যের তরফে তাঁকে বাজেট ভাষণের একটা স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়েছে। সেটা তিনি বিবেচনায় রেখেছেন। প্রয়োজনে সংবিধানিক প্রধান হিসেবে সেই স্ক্রিপ্ট তিনি নিজের মতো করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এবং রাজভবন সূত্রে খবর, তিনি রাজ্যের স্ক্রিপ্ট অন্ধের মতো পড়বেন না। বরং, সেখানে নিজের মতামতও তিনি যোগ করবেন।

এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, বাজেট ভাষণ নিয়ে রাজ্যপালের পরামর্শ মানছে না রাজ্য। রাজ্যের দেওয়ার ভাষণই চূড়ান্ত। পাল্টা রাজ্যপালের দাবি সংবিধান মেনে তিনি যা করার করবেন। সুতরাং, বাজেট ভাষণ নিয়ে ফের নতুন করে সংঘাত হতে চলেছে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “দেশের কোনও রাজ্যে রাজ্যপাল বাজেটের বিষয় দেখতে চেয়েছেন আমি অন্তত কোনওদিন শুনিনি। তিনি হয়তো একটু বেশি বিদ্বান। তাই তিনি দেখতে বাজেট জানতে চাইছেন।”

পাশাপাশি তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের পর কোথাও কোনও জয়াগায় সেটা প্রকাশ করা যায় না। অর্থমন্ত্রী ছাড়া কেউ বাজেট অধিবেশনে প্রকাশ্যে আসেন না। সেটা কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্যও প্রযোজ্য। এবং রাজ্যের বাজেটের ক্ষেত্রে একই নিয়মবলে দাবি করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।

Previous articleশিনা বোরা হত্যা: পিটার মুখার্জিকে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট
Next articleহার মানল করোনা আতঙ্ক, চিনা প্রেমিকার কাঁথিতে এসে বিয়ে