ইতিহাসের চরম সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে চিন। করোনা ভাইরাসের হানা থেকে দেশকে বাঁচাতে ‘গণহত্যা’র পথেই যেতে চাইছে কমিউনিস্ট এই দেশ। দেশের সুপ্রিম পিপলস কোর্টে এ ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে চিন সরকার। মারণ ভাইরাস যাতে আক্রান্তদের শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যেই এই আবেদন। কারণ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ২০জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দেশের সরকার সর্বোচ্চ আদালতে ‘গণহত্যা’র পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অর্থ মৃত্যু দেরিতে আসা। কিন্তু আক্রান্তরা হাসপাতালে আসায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

চিনে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। বিগত এক মাসে সরকারিভাবে ৬৫০জন মারা গেলেও একটি সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা আসলে ২৫হাজার। সরকার এই হিসাব প্রকাশ্যে আনছে না। যাদের অধিকাংশকে ইতিমধ্যেই মেরে ফেলা হয়েছে। পাল্টা আদালতে চিন সরকার বলেছে, এই ভাইরাস এমনই মারাত্মক যে এর ফলে চিন দেশটাই বিলীন হয়ে যেতে পারে। আক্রান্তরা যদি তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশের পাশে না দাঁড়ান, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মী সহ কোটি কোটি মানুষকে হারাবে দেশ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ দেশ চিন থেকে অধিবাসীকে সরিয়ে এনেছে। কিন্তু এমন ১৩টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চিনে না যাওয়া, সত্ত্বেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা ভাবাচ্ছে অন্য দেশকেও।
