শনিবার বইমেলায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার প্রবেশ এবং বাম-অতিবাম পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। সে নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বইমেলায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি বইমেলা ছাড়িয়ে বিধাননগর উত্তর থানায়। এমনকী যাদবপুর থানাতেও। রাতে গিল্ডকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় আর সুধাংশু শেখর দেকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে বইমেলায়। ফলে বইমেলাকেও রাজনীতিমুক্ত রাখা গেল না। এবং যার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না পুলিশ।

বইমেলায় প্রথম দিন থেকেই এনআরসি-সিএএ বিরোধী মিছিল বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। যারা করেছেন, তাদের শাসক দলের পরিবৃত্তে দেখা যায়। সেদিনই বইমেলার দর্শকরা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, এটাকে অন্তত বাজারি রাজনীতির আখড়া বানানো উচিত নয়। আজ সিএএ বিরোধী সভা হচ্ছে। সরকার তার পক্ষে থাকায় পুলিশও নির্বিকল্প সমাধি নিচ্ছে। কিন্তু পাল্টা তার সমর্থনে মিছিল হলে তা করতে দেওয়া হবে তো! ঠিক সেটাই দেখা গেল বইমেলার নবমীনিশিতে। রাহুল সিনহা এসেছিলেন তাঁর দলের স্টল ‘গণবার্তায়’। কোনও প্রচার, স্লোগান কিচ্ছুটি ছিল না। তাঁকে দেখেই রে-রে করে বিক্ষোভ। পোস্টার ছিড়ে দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ বাধা দেয়, আটক করে। সে নিয়েও অভিযোগ। পুলিশের স্টল ঘেরাও করে বিক্ষোভ। রাতে থানায় অতিবাম বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ জানাতে গিয়ে যেভাবে মহিলা পুলিশকে মেরেছে, চুল টেনেছে, চড়-থাপ্পড় মেরেছে, তাকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যরা মার খেয়েছেন, তা বিস্ময়ের। তার চেয়েও বড় বিস্ময়ের হলো, এই কাণ্ড যারা ঘটালো রাতে তাদের নিঃশর্তে ছেড়ে দিয়ে পুলিশ কর্তাদের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো। পুলিশে আর মানুষের ভরসা কেন থাকবে! এরপর আবার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। দাবি, তাদের আটক সমর্থকদের ছাড়তে হবে।

বইমেলাকেও রাজনীতি মুক্ত রাখা গেল না। শনিবার বিধাননগর উত্তর থানায় যেভাবে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে, তারা দায়িত্ব কী তাঁরা এড়াতে পারেন!
