সিএএ বিরোধিতা: পুরস্কৃত-বরখাস্ত ক্যাব চালক

আরোহীর কথা শুনে মনে হয়েছিল দেশদ্রোহী। তাই উবার চালক পুলিশে দেন আরোহীকে। এই ঘটনার জেরে ক্যাবের চালক রোহিত গৌরকে সাসপেন্ড করেছে উবার। যদিও গোটা ঘটনায় বেশ খুশি বিজেপি। শনিবার ওই ক্যাব চালককে পুরস্কার দিল গেরুয়া শিবির। একটি প্ল্যাকার্ডের উপরে ‘অ্যালার্ট সিটিজেন’ লিখে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

হিন্দুত্ববাদীদের কথায়, ওই ক্যাব চালক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে যথেষ্ট সজাগ ছিলেন। যাত্রীর কথাবার্তা আড়ি পেতে শুনে দেশপ্রেমিকের কাজ করেছেন বলেই মত বিজেপির। শনিবার, রোহিতের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুম্বইয়ের বিজেপি প্রধান এম পি লোধা। তিনি টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘উবারের এক যাত্রী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলছিলেন। আমরা মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের তরফে রোহিতকে পুরস্কার দিচ্ছি।’’
বুধবার, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জুহু থেকে কুর্লা যাওয়ার জন্য একটি ক্যাব বুক করেন বাপ্পাদিত্য সরকার। এরপর ওই উবারে বসেই এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। যার মূল বিষয় হল, দিল্লির শাহিনবাগে প্রায় দু’মাস ধরে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ চলছে। সেখানেই প্রতিবাদ মঞ্চে ওঠে ‘লাল সেলাম’ স্লোগান। তা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপরেই গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে পুলিশ ডেকে আনেন উবার চালক। পুলিশের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের মাঝেই বারবার তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য দুই পুলিশকর্মীকে আর্জি জানাচ্ছিলেন ওই উবার চালক। এমনকী, পুলিশকে ওই চালক বলেন বাপ্পাদিত্য একজন বামপন্থী। তিনি মুম্বইয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। শাহিনবাগের আদলে মুম্বইতেও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে চাইছেন। ওই চালক আরও দাবি করেন যে বাপ্পাদিত্যর সব কথা তিনি রেকর্ডও করেছেন। এরপরেই বাপ্পাদিত্যকে থানায় নিয়ে যান দুই পুলিশকর্মী। সান্তাক্রুজ থানায় রাত ১টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর পরিচিত এক সমাজকর্মী এস গোহিল গিয়ে থানা থেকে নিয়ে যান বাপ্পাদিত্যকে।

Previous articleবুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লির বাদশা কেজরি-ই
Next articleবইমেলায় গিয়ে কেন্দ্রের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অপর্ণা সেন