সমাবর্তন নিয়ে তীব্র সঙ্ঘাত, উপাচার্যকে শো কজ করলেন আচার্য, হতে পারেন বরখাস্ত’ও

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত তীব্র হতে চলেছে৷
ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো কজ নোটিস পাঠিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে বরখাস্ত পর্যন্ত হতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য৷

আচার্যকে না জানিয়ে সমাবর্তনের আয়োজন কী ভাবে হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা উপাচার্যকে শো কজ নোটিশ পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল৷ উপাচার্যকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও রাজভবন শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে৷

উপাচার্যকে শো কজ করে রাজ্যপাল বলেছেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভাঙার দায়ে তাঁকে কেন বরখাস্ত করা হবে না, ১৪ দিনের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে৷
একইসঙ্গে, মেল, ফ্যাক্স এবং ডাকে এই শো কজ নোটিস বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে উপাচার্যকে পাঠানো হয়েছে৷ শো কজের চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হতে চলেছে বলে শুনেছি৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা কোর্টের প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্য তাঁকে সমাবর্তনের বিষয়ে কিছুই জানাননি। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইনের ধারা তুলে রাজ্যপাল বলেছেন, এই ভাবে সমাবর্তনের আয়োজন করে আচার্য পদটির সম্মান নষ্ট করা হয়েছে৷ রাজ্যপাল লিখেছেন, উপাচার্য নিজের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করেছেন এবং ‘উপাচার্য পদে তিনি বহাল থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে’৷ শো কজ নোটিসে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী কারণ দর্শানোর জন্য উপাচার্যের ১৪ দিন সময় পাওয়া উচিত। সেই সময় উপাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী কাল, শুক্রবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। তার আগেই আচার্যের শো কজ নোটিশ পেয়েছেন উপাচার্য৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বিতর্ক চলছেই৷ সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে আচার্য তথা রাজ্যপালের নাম নেই কেন? এই প্রশ্নই প্রথমে বড় হয়ে উঠেছিলো৷ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, রাজ্যপালকে সমাবর্তনের বিষয়ে সব জানানো হয়েছে৷ কিন্তু রাজভবন উত্তর দেয়নি। আর রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, সমাবর্তনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে কিছুই জানায়নি।

 
Previous articleকরোনাভাইরাস আতঙ্ক: ব্যাংকক থেকে কলকাতায় আসা ব্যক্তি ভর্তি আইডি হাসপাতালে
Next article‘প্রেম চলছিল, বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন টাটা’ কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে গেল কীভাবে?