ভোট ঘোষণার আগেই কলকাতার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল

পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আর একইসঙ্গে চর্চা চলছে নানা জল্পনা নিয়ে৷ এই জল্পনা-চর্চার বেশিরভাগই শাসক তৃণমূল-কেন্দ্রিক৷

শাসক দলের অন্দরে জোর চর্চা চলছে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ নিয়ে। একাধিক জল্পনা তুঙ্গে। নাম ভাসছে একাধিক৷ প্রথম সারির মন্ত্রীর যেমন নাম আছে, তেমনই পুরসভার বর্তমান পদাধিকারীর নাম আছে৷ পাশাপাশি রয়েছে বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নামও।
তবে তৃণমূল অন্দরের খবর, ফিরহাদ হাকিম নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে কলকাতার মেয়র পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি মন্ত্রীপদের ব্যস্ততাকেই নাকি তুলে ধরেছেন৷ এই কথা বাইরে আসতেই একাধিক জল্পনা পল্লবিত হয়েছে৷

রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ফের উঠছে মেয়র পদে৷ সুব্রতবাবু বর্তমানে কলকাতার বালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক৷ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ দক্ষিণ কলকাতায় এই কেন্দ্রেই তৃণমূলের লিড ছিলো সর্বাধিক৷ সুব্রতবাবু সম্ভবত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না-ও হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ বালিগঞ্জ কেন্দ্র নিয়ে তৃণমূলের বিশেষ কিছু ভাবনার কথা ভাসছে৷ সে কারনেই সুব্রতবাবুর নাম নাকি রাজ্যসভা অথবা কলকাতা পুরসভার মেয়র পদের জন্য ভাবা হচ্ছে৷ এই সব কথাই অসমর্থিত সূত্রের৷
মেয়র পদের জন্য রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতার বর্তমান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নামও নাকি বিবেচনাধীন৷ চূড়ান্ত নাম অবশ্যই ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।

অন্যদিকে হাওড়া কর্পোরেশনের মেয়র হতে পারেন অরূপ রায় বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই শোনা যাচ্ছে৷
এক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই পাল্লা ঝুঁকে আছে। বিদায়ী মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে এবার সম্ভবত দলের প্রার্থী করা হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দু’দিন আগে তৃণমূলের জরুরি বৈঠকও নাকি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে সেখানেই এই নামগুলি নিয়ে নাকি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে৷ পুরসভাগুলির আসন্ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি দলের কোর গ্রুপের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠকে বসছেন৷ সেখানেই এসব ইস্যুতে বিভিন্নরকম আলোচনা হচ্ছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের প্রথমেই তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারে৷ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করারও পরিকল্পনা রয়েছে৷ শোনা যাচ্ছে এই পরামর্শ নাকি ভোট-কৌশলি প্রশান্ত কিশোরের৷ এতে নাকি বিরোধীদের উপর যেমন চাপ সৃষ্টি করা যাবে, তেমনই বার্তা দেওয়া যাবে কলকাতায় জেতার প্রশ্নে তৃণমূল কতখানি কনফিডেন্ট৷

Previous articleরাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleকাউন্সিলরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে ফরেন্সিক দল