ভাষা আন্দোলনের শহিদকে শ্রদ্ধা পরিবহন মন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলনের শহিদ আবুল বরকতের জন্মভিটেতে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বরকত সাহেবের একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ‘বর্ণ পরিচয়ের’ মাধ্যমে বাংলা ভাষার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন। ১৯৫২ সালে সেই বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখতে আবুল বরকতের কৃতিত্ব ঠিক ততটাই তাৎপর্য পূর্ণ। ১৯৯৯ সালে ৭ নভেম্বর প্যারিসে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে প্রধান্য পায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে শহিদ দিবসের দিনটি। ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর জুড়ে অন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালনের শুভ সূচনা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে।’’

শুধু স্মৃতিচারণেই থেমে থাকেননি তিনি। একদিকে শহিদের গ্রামকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করে গেলেন উপস্থিত হাজার দশেক মানুষের সামনে। পাশাপাশি যাত্রীশেড, বরকত ভবনের আধুনিকীকরণ সহ বাবলা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সরকারি বাস চলাচলের ব্যবস্থা করেন মন্ত্রী। এদিনের স্মরণ সভায় শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মূর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন, সহ সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস। অনুষ্ঠানের অয়োজক আজাহার উদ্দিন সিজার জানিয়েছেন,”আমরা বাঙালি, আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি এটা আমাদের কাছে গর্ব। তবে যাঁদের আত্মবলিদানে আমার মাথা পৃথিবীর বুকে উঁচু হয়ে আছে তাঁদের অনেকের মধ্যে রয়েছে আমাদের এলাকার ভূমিপুত্র আবুল বরকত। স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে দিনটি স্মরণীয় করে রাখলেও আজ পর্যন্ত কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। আজ মান্ত্রী শহিদ স্মরণে এসে গ্রাম এলাকা ও শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে যে সার্বিক উন্নয়ন ও স্মৃতিচারণের নতুন উদ্যোগ নিলেন তাতে এলাকার মানুষ অভিভূত।’’ করে গেলেন।

আরও পড়ুন-শহিদ মিনারে বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে ফের ধন্ধ

Previous articleশহিদ মিনারে বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে ফের ধন্ধ
Next articleভোটার আইডি কার্ডই নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট, বলল মুম্বইয়ের কোর্ট