প্রকাশ্যে একসঙ্গে নগ্ন করে মহিলাদের মেডিক্যাল চেকআপ, চাঞ্চল্য গুজরাতে

ফের আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এবারও ঘটনাস্থল সেই গুজরাত ৷ প্রকাশ্যে একসঙ্গে নগ্ন করে কর্মচারীদের মেডিক্যাল চেকআপের অভিযোগ উঠল খোদ সুরাত কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে ৷

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার । সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কর্মচারী সংগঠন অভিযোগ জানিয়েছে, সুরাতের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে মহিলা ট্রেনি ক্লার্কদের বাধ্যতামূলক ফিটনেস ও মেডিক্যাল টেস্টের নামে অশালীন ও অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার সামনে পরতে হয় ৷ অভিযোগ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একঘরে একসঙ্গে জোর করে মহিলাদের নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় ৷এমনকি সেখানে ছিল না মহিলাদের জন্য কোনও ন্যূনতম গোপনীয়তার ব্যবস্থা ৷ যে ঘরে এই পরীক্ষা চলছিল সেখানে ছিল না কোনও পাকাপোক্ত দরজাও ৷ শুধুমাত্র ছিল একটি পর্দা ৷অবিবাহিত মহিলা কর্মচারীদের পরীক্ষার সময় প্রচুর ব্যক্তিগত ও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয় । এমনই অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ৷ তাদের থেকে জানতে চাওয়া হয় এর আগে কখনও গর্ভবতী হয়েছেন কিনা ৷ এমনকী মহিলাদের বিতর্কিত টু-ফিঙ্গার টেস্টও করা হয় বলে অভিযোগ ৷

এক এক করে ডেকে টেস্টের বদলে, একসঙ্গে সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে সবাইকে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করা হয় ৷ একসঙ্গে ১০ জন মহিলাকে উলঙ্গ করে চেক আপ করছিলেন চিকিৎসক ৷ এই ঘটনা সামনে আসতেই ফের বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শেখ অভিযোগ করেছেন , তিন বছর প্রবেশনের সময় পূর্ণ করে স্থায়ীভাবে চাকরিতে থাকতে গেলে মেডিক্যাল টেস্ট বাধ্যতামূলক হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার এমন পদ্ধতি অত্যন্ত আপত্তিকর ৷ গর্ভবতী কিনা জানতে যে মেডিক্যাল উপায় নেওয়া হয়েছে তাঁর বিরোধিতা করছি ৷অভিযোগ পেয়ে মেয়র জগদীশ পটেল দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে, যারা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেবে ৷

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রণবানন্দ তোরণের শিলান্যাস বালিগঞ্জে
Next articleভাষা দিবসে মমতা-যোগেন্দ্র যোগ, নয়া সমীকরণ জাতীয় রাজনীতিতে