বিচারপতিকে দ্রুত সরিয়ে দিয়ে সমালোচনা থেকে বাঁচতে চাইল কেন্দ্র!

ফের বিতর্ক। এবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধরের হঠাৎ বদলি নিয়ে। যদিও গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছিল। এই বদলির কারণে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতিরা কর্মবিরতিও পালন করেন। কিন্তু মঙ্গলবার মাঝ রাতে বিশেষ আদালত বসিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করার পর আমজনতা তাঁকে সাধুবাদ জানান। কিন্তু বুধবার মাঝরাতে তাঁর বদলিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পরেই প্রশ্ন উঠেছে সব মহলেই। কেন এতো তাড়াহুড়ো? যিনি একটি মামলার দেখভাল করছেন, তাঁকে হঠাৎ কেন সরিয়ে দেওয়া হলো? কেন দিল্লি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলো না?

দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তিতে আতঙ্ক, রাতে চোরাগোপ্তা আক্রমণের কারণে অসংখ্য মৃত্যু এবং পুলিশের নির্বাক আচরণের জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বিচারপতি মুরলিধরের বাড়িতে যান চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা। রাত পৌনে দুটো নাগাদ তিনি পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, যারা উস্কানি দিয়েছে, সেইসব বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন পুলিশ আগেই ব্যবস্থা নিল না! বিচারপতির এই নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণে মুখ পোড়ে কেন্দ্রের। ফলে দ্রুত তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আর হাতছাড়া করা হয়নি। তাঁর জায়গায় দিল্লির মামলা উঠবে বিচারপতি ডি এন প্যাটেলের বেঞ্চে। কিন্তু তাতে সমালোচনা এবং কেন্দ্রের মুখরক্ষা কী আদৌ হবে!

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleরাজ্যসভার পঞ্চম আসনে নতুন মুখ নয়, সেই বর্ষীয়ান সীতারামেই ভরসা!