বাম যুবদের দিল্লি চলোয় নজর কাড়া ভিড়

দিল্লিতে বাম যুবদের সমাবেশ। সেই মঞ্চ থেকে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বললেন, কেন্দ্র সরকার বলছে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে না দেশে। আজকের যুবকদের চাকরি নেই। অথচ কর্পোরেটদের হাজার হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সরকার সমস্যা মেটাতে পারছে না, অথচ বিভাজনীতি চলছে সমানে। মানুষকে ধর্মের নামে আলাদা করা হচ্ছে। একই সুরে সুর মিলিয়ে প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, দেশ পিছোচ্ছে বিজেপির হাত ধরে। বিজেপি মানেই দাঙ্গার সরকার। বিজেপি মানেই মানুষে-মানুষে বিভাজন। আর শ্রমিক নেতা হান্নান মোল্লা শ্রমিকদের হতশ্রী অবস্থার কথা তুলে ধরে বললেন, দেশে শ্রমিকদের অবস্থা মোদির আমলে সবচেয়ে সঙ্গীন। কাজের গ্যারান্টি নেই, চাকরির গ্যারান্টি নেই। ছাঁটাই এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। বদলে দিতে হবে এই পরিস্থিতি। সভাকে ঘিরে পুলিশি ব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

দিল্লির যন্তর-মন্তরে শুক্রবার দুপুরে কাজের দাবিতে ডিওয়াইএফআই-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার ডাকে দিল্লি চলোর ডাক দেওয়া হয়েছিল। দেশ জুড়ে বেকারত্বের জেরে বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে বেকারত্ব দূরীকরণ আইন বা বেরোজগারি অ্যাবলিশন অ্যাক্ট চালু করতে হবে। এই কারণে সংগঠন ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ বেরোজগার বা এনআরবিতে নাম নথিভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল। ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। সভায় আওয়াজ ওঠে ‘ওয়ান্ট রোটি, নট রায়ট, দাঙ্গা নয় রুটি চাই। রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির দাবি, ১৯৯১ সালের পর থেকে যে সমস্ত পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে, সেই সব পদ ফিরিয়ে আনতে হবে। সংগঠন এ নিয়ে লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বক্তব্য রাখেন সর্বভারতীয় যুব সম্পাদক অভয় মুখার্জি, আভাস মুখার্জি ও ডিওয়াইএফ আইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি মহম্মদ রিয়াজ।

Previous article“দিল্লির ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি”, অবশেষে মুখ খুললেন ধনকড়
Next articleবকেয়া মেটাতে গ্রাহকদের উপর চাপ বাড়াবে ভোডাফোন?