Saturday, December 6, 2025

সন্দেহ তীব্র হচ্ছে,১৩,২০০ ফোন পেয়েও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল দিল্লি পুলিশ?

Date:

Share post:

দিল্লিতে টানা ৪দিন ধরে মারন-সংঘর্ষ চলাকালীন দিল্লি পুলিশের কাছে ১৩ হাজার ২০০টি ফোন গিয়েছিল। এই সব ফোনে পুলিশকে বলা হয়েছিলো কোথাও গুলি চলছে, কোথাও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল, কোথায় হামলা চলছে বস্তিতে৷ এই বিশাল সংখ্যক ফোন পেয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য সামনে এনেছে।
CAA-র বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় তেতে উঠেছিলো রাজধানী দিল্লি। তাতে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০-র বেশি মানুষ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,পুলিশ- প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হিংসা এভাবে চরম আকার ধারণ করে৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফোনে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কল লগ খতিয়ে দেখে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে দেখা গিয়েছে:-
◾২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিক্ষোভের প্রথম দিন সন্ধ্যাতেই ৭০০ ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। ◾২৪ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০।
◾২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার ৫০০ ফোন পায় পুলিশ। ওই দিন রাত থেকেই এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ◾পরদিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৫০০টি ফোন পায় পুলিশ।
শুধুমাত্র যমুনা বিহার এলাকা থেকেই ভজনপুরা থানায় ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম। ভজনপুরা থানার ৮ পাতার কল- রেজিস্টার খতিয়ে দেখে ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে, কী অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য রেজিস্টারের পাতায় আলাদা আলাদা কলাম থাকলেও, শুধুমাত্র কোথা থেকে ফোন এসেছিল, কী অভিযোগ তা-ই লেখা রয়েছে। এমনকি গুলি চলা এবং আগুন লাগানোর অভিযোগও লেখা রয়েছে তাতে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার উল্লেখ নেই সে ভাবে। অর্থাৎ অভিযোগ পেয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
শুধু সাধারণ মানুষই নন, যমুনা বিহারের বিজেপি কাউন্সিলর প্রমোদ গুপ্তের অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । পুলিশ তাঁর ফোনই ধরেনি বলে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর। প্রমোদ গুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত, পরিস্থিতি এতটা খারাপ দিকে মোড় নিত না।’’

আরও পড়ুন-১০০ কোটির প্রচার ভুয়ো, মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ট্রাম্প সফরে খরচ মাত্র ৮ কোটি

spot_img

Related articles

কলকাতা-লন্ডন বিমান ভাড়া কলকাতা-মুম্বইয়ের থেকে কম! হয়রানিতেও জুটল না বিশেষ ট্রেন

লক্ষ লক্ষ দেশবাসী গত ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিপর্যস্ত। কারো বিয়ে, কারো পরীক্ষা আটকে...

বাংলাই দেখায় পথ: BLO মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তে বাধ্য হল কমিশন

বাংলায় মৃত্যু চার বিএলও-র। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গোটা দেশে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বিএলও...

চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকা, আদালতের নির্দেশে প্রকাশ এসএসসি-র

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ফের এক তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র। ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ‘অযোগ্য’ চিহ্নিতদের...

কাজ করার সময়ই অসুস্থ BLO: হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আরও বাড়ল

এসআইআর-এর সময় সীমা বাড়ানো হোক। এই দাবিতে রাজ্যের সিইও দফতরের সামনে লাগাতার আন্দোলনে বিএলও অধিকার রক্ষা মঞ্চ। যেভাবে...