Sunday, December 28, 2025

সন্দেহ তীব্র হচ্ছে,১৩,২০০ ফোন পেয়েও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল দিল্লি পুলিশ?

Date:

Share post:

দিল্লিতে টানা ৪দিন ধরে মারন-সংঘর্ষ চলাকালীন দিল্লি পুলিশের কাছে ১৩ হাজার ২০০টি ফোন গিয়েছিল। এই সব ফোনে পুলিশকে বলা হয়েছিলো কোথাও গুলি চলছে, কোথাও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল, কোথায় হামলা চলছে বস্তিতে৷ এই বিশাল সংখ্যক ফোন পেয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য সামনে এনেছে।
CAA-র বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় তেতে উঠেছিলো রাজধানী দিল্লি। তাতে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০-র বেশি মানুষ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,পুলিশ- প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হিংসা এভাবে চরম আকার ধারণ করে৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফোনে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কল লগ খতিয়ে দেখে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে দেখা গিয়েছে:-
◾২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিক্ষোভের প্রথম দিন সন্ধ্যাতেই ৭০০ ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। ◾২৪ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০।
◾২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার ৫০০ ফোন পায় পুলিশ। ওই দিন রাত থেকেই এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ◾পরদিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৫০০টি ফোন পায় পুলিশ।
শুধুমাত্র যমুনা বিহার এলাকা থেকেই ভজনপুরা থানায় ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম। ভজনপুরা থানার ৮ পাতার কল- রেজিস্টার খতিয়ে দেখে ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে, কী অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য রেজিস্টারের পাতায় আলাদা আলাদা কলাম থাকলেও, শুধুমাত্র কোথা থেকে ফোন এসেছিল, কী অভিযোগ তা-ই লেখা রয়েছে। এমনকি গুলি চলা এবং আগুন লাগানোর অভিযোগও লেখা রয়েছে তাতে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার উল্লেখ নেই সে ভাবে। অর্থাৎ অভিযোগ পেয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
শুধু সাধারণ মানুষই নন, যমুনা বিহারের বিজেপি কাউন্সিলর প্রমোদ গুপ্তের অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । পুলিশ তাঁর ফোনই ধরেনি বলে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর। প্রমোদ গুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত, পরিস্থিতি এতটা খারাপ দিকে মোড় নিত না।’’

আরও পড়ুন-১০০ কোটির প্রচার ভুয়ো, মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ট্রাম্প সফরে খরচ মাত্র ৮ কোটি

spot_img

Related articles

বর্ষশেষের শীতের আমেজে সামান্য বাড়ল কলকাতার উষ্ণতা 

বড়দিন থেকে জাঁকিয়ে শীত (Winter) , বছরের শেষ লগ্নেও ঠান্ডার দাপট অব্যাহত। যদিও আলিপুর হাওয়া অফিস (Alipore Weather...

সুড়ঙ্গে আটকে মেট্রো, রবিবার লাইন ধরে হেঁটে প্ল্য়াটফর্মে যাত্রীরা!

ফের ছুটির দিনে মেট্রোতে ভোগান্তি। রবিবার সকালে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে (Kolkata Blue Line metro) ফের যান্ত্রিক গোলযোগে...

বছরের শেষ রবিবারে পিকনিক মুডে বাংলা, ভিড় বাড়ছে চিড়িয়াখানায়-ইকোপার্ক -ভিক্টোরিয়ায়

হাতে আর মাত্র তিন দিন, তারপরেই বিদায় জানাতে হবে ২০২৫-কে। চলতি বছরের এটাই শেষ রবিবার। তাই ছুটির মেজাজে...

‘ভূমিকম্পের আগে’, উৎপল সিনহার কলম 

বাইরে আমি হিরো হলেও ঘরে কুনো ব্যাঙ... কুনো ব্যাঙকে নিয়ে যারা মজা-মস্করা করেন তাঁদের এবার একটু সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা...