‘মুরগির মাংস থেকে কোনও ভাবেই করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে না। এমনকি মুরগির শরীরেও এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারে না।
গুজবের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পোলট্রি শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ক্রেতাদের আতঙ্কের পাশাপাশি পোলট্রি ব্যবসা বিশেষ করে, মুরগির মাংসের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।
পশু চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন মুরগির মাংসে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত যে বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে তা সম্পূর্ণভাবে গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।

পোলট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, ঋতু পরিবর্তনের সময় অসুস্থ হয়ে অনেক মুরগিই মারা যায় । তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সংক্রামক রোগের অদৃশ্য জীবাণুর সামান্যতম যোগাযোগ নেই। যদিও মূলত সোস্যাল মিডিয়ায় যেভাবে মানুষজন মুরগির মাংস থেকে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন সতর্কবার্তা এবং ভিডিও প্রকাশ করছেন তাতে পোলট্রি ব্যবসায় বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ।
মন্দার বাজারে চিকেনের দাম কমিয়েও আখেরে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছেন না পোলট্রির কারবারীরা।
গোটা মুরগির পাইকারি দাম ঠেকেছে কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকায়। অথচ খামারে মুরগি বড় করতেই প্রতি কেজিতে খরচ হয় প্রায় ৮০ টাকা। পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ, ‘কোনও ভয় নেই। নিরাপদে খান মুরগির মাংস।’
