আর বিলম্ব নয় ! ভোট কবে জানতে নবান্নে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস

নির্বাচন কমিশনকে জানানোর কথা রাজ্য সরকারের৷ কিন্তু রাজ্য কমিশনকে কিছু না জানানোয় এবার কমিশনই আগ বাড়িয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চাইছে, রাজ্য পুরভোট কবে ?

পুরভোটের আইন বলছে, খসড়া তালিকা প্রকাশের ১০ সপ্তাহ পর ভোট করাতে কোন অসুবিধা থাকে না। সেই হিসাব ধরলে ২৭ মার্চের পর যে কোন দিনই ভোট হতে পারে। ৩১ মার্চের মধ্যে সব বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর পর ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করতে চায় কমিশন। যাতে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করা যায় সে কারনেই এই চিঠি বলে কমিশন সূত্রের খবর।পুরভোট নিয়ে নবান্ন কী ভাবছে, তা জানতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সে কারনেই এবার চিঠি পাঠাচ্ছে কমিশন৷
কবে ভোট, ক’ দফায় ভোট, তা নিয়ে রাজ্য এখনও সরকারিভাবে কিছু জানায়নি কমিশনকে৷ ফলে কমিশন তৈরি থাকলেও ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষনা করতে পারছেনা৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস শনিবার স্বীকার করেছেন যে তারা রাজ্যকে চিঠি দিতে চলেছেন৷

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্যে পুরভোটের সম্ভাবনা আছে৷ জল্পনা এমনও রয়েছে, প্রথম দফায় কলকাতা ও হাওড়া পুর কর্পোরেশনের ভোট। এর পর আরও দু-তিন দফায় বাকি শতাধিক পুরসভার ভোট হতে পারে৷

পুরভোট নিয়ে কমিশন চাইছে, সব কিছু তৈরি যখন, তখন ভোটের দিন চূড়ান্ত হোক। ঠিক হোক,
EVM না ব্যালট, কিসে হবে ভোট ? চূড়ান্ত হোক, যে ১১১টি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা, তার নির্ঘন্ট৷ এর উত্তর রাজ্যকেই দিতে হবে৷ তাই রাজ্যের কাছেই এ সব জানতে চাইছে কমিশন৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসও বলেছেন, ‘‘রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।’’

এদিকে সূত্রের খবর, EVM-এ ভোট করাতে চায় কমিশন৷ EVM-এর সঙ্গে VVPAT- ও ব্যবহার করা হতে পারে। যদি তেমন হয়, তবে এ বারই প্রথম পুর নির্বাচনে ভিভিপ্যাট- সহ ভোট হবে। কমিশনের কাছে খবর, রাজ্যও EVM-এর বিপক্ষে নয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালটে ভোট করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিলো ব্যালটে৷
সেই নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ ছিলো, ব্যালট লুঠ হয়েছে, গণনাকেন্দ্রে ঢুকে ছাপ্পা মারা হয়েছে৷ সব অভিযোগই ছিলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত-ভোটের বিতর্ক এড়াতে কমিশন চাইছে, EVM–এ ভোট হোক৷

রাজ্যের কাছে তারিখ জানতে চাইলেও, কমিশন মোটামুটি তৈরি নিজস্ব নির্ঘন্ট নিয়ে৷ কমিশন চাইছে আগামী ১০-১২ এপ্রিল কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট সেরে ফেলতে৷ এর পর এপ্রিলের ২৫-২৬ তারিখ নাগাদ বাকি পুরসভার ভোট করতে চায় কমিশন। দু’দফাতেই ভোট শেষ করতে চাইছে কমিশন। যদি রাজ্য তিন দফায় ভোট করতে চায়, তাহলে শেষ দফার ভোট হতে পারে মে মাসের শুরুতে।

Previous articleদিল্লির সংঘর্ষের আঁচ বাংলাদেশেও, দ্রুত ভারতকে সমাধানের আর্জি আওয়ামী লীগের
Next articleকরোনাভাইরাস এর গুজবে পোলট্রি ব্যবসা তলানিতে, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের