ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতা ‘হ্যাকাথন’ অনুষ্ঠিত হল অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে

রাজ্য তথা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হল এক অভিনব প্রতিযোগিতা।যেখানে দেশের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিলেন।২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে `হ্যাকাথন` নামে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এইচসিএল টেকনোলজির অধীন ‘সঙ্কল্প সেমিকন্ডাকটার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা।যৌথভাবে নলেজ পার্টনার হিসাবে প্রতিযোগিতাটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিল অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ও।

গত বেশ কয়েক বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংযের ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে সঙ্কল্পের তরফে এই বিশেষ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে।প্রতি বছর প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এতে অংশ নেন।এবছরে থিম `আইওটি বেসড সলিউশনস ফর ইন্ডিয়ান ইকোসিস্টেম।তিনটি ক্যাটেগরিতে প্রতিযোগিতা হয়। সেগুলি হল-সম্পদের সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি।প্রতিযোগীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় ভাগ নেন।উপরিউক্ত বিষয়ের উপর তাঁরা আগেই প্রস্তুত করা মডেল পেশ করেছিলেন।তারই ভিত্তিতে এদিনের প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্যায়ে এদিন সেই মডেলগুলিরই ডেমো প্রস্তুত করে দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা।একইসঙ্গে সম্পদের সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা, তার প্রস্তাবিত সমাধান ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে উল্লেখ করেন তাঁরা।এর পর সেরার সেরা বিচারের পালা।এই পর্বে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টরা জয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নেন।

এবছর এই প্রতিযোগিতায় ভাগ নিতে ১১টি রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩০টি মডেল জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে পাঁচ রাজ্যের ১২টি টিমকে বেছে নেওয়া হয়।যারা এদিনের হ্যাকাথনে অংশ নিতে নেন।বিজয়ী দলের জন্য ছিল আকর্ষণীয় আর্থিক পুরষ্কার।প্রথম স্থানে থাকা বিজয়ী দলের জন্য ছিল ৮০ হাজার টাকা পুরষ্কার।প্রথম পুরষ্কার জিতে নেয় হায়দরাবাদের নারসাপুরের বি ভি রাজু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র-ছাত্রীদের একটি টিম।রানার্স আপ অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থান দখল করে অন্ধ্রপ্রদেশের নুজভিডের রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ নলেজ টেকনোলজিসের পড়ুয়াদের দল। তাদের প্রাপ্ত পুরষ্কারমূল্য ৫০ হাজার টাকা।পিছিয়ে নেই কলকাতার ছাত্র-ছাত্রীরাও।১০ হাজার টাকার বিশেষ পুরষ্কার জিতে নেয় কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিযারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরা।

অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরিয়ার ডেভলপমেন্ট সেলের অধিকর্তা অভিজিৎ গিরির কথায়, ‘‘ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরই ঝোঁক রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে।যদিও এখন তথ্যপ্রযুক্তি তথা আইটি ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ অনেকটাই কমে গিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর বিষয়গুলির প্রতিও পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়ানোর বিশেষ দরকার।আমরা চাই পড়ুয়ারা নিজেরা বিভিন্ন ধরনের জিনিসের ডিজাইন প্রস্তুত করুক।এক্ষেত্রে তাই ইলেকট্রিকাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের দাবি অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১০০ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।সেইমতো অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ও কোর ইঞ্জিনিয়ারিং তথা উৎপাদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত কোর্সগুলির প্রতি বিশেষ নজর রেখেছে।’’

Previous articleমুণ্ডহীন অবস্থায় হাঁটছেন এক ব্যক্তি! দেখে চমকে উঠছেন নেটিজেনরা
Next articleঅবোধের গোবধে আনন্দ,কণাদ দাশগুপ্তের কলম