নজরে মমতা আবেগ-কর্পোরেট ছোঁয়ার মিশেলে অভিষেক-পিকে জুটিতে তৃণমূলের ইভেন্ট লঞ্চ

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের “ইভেন্ট লঞ্চ”। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যাযয়ের নীতি-আদর্শ, ভাবমূর্তি এবং কর্মকান্ড কে সামনে রেখে সামনে রেখে হচ্ছে এই ইভেন্ট লঞ্চ অনুষ্ঠান। যার নেতৃত্বে রয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং “ভোট গুরু” প্রশান্ত কিশোর।

ফলে ইভেন্ট লঞ্চ পুরোদস্তুর কর্পোরেট ছোঁয়া। অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-প্রশান্ত কিশোররা বার্তা দিতে চাইছেন, জাতীয়তাবাদী দলগুলির মধ্যে আবেগে ভর করে থাকা তৃণমূল এখন থেকে অনেক বেশি পেশাদার, অনেক বেশি কর্পোরেট এবং অনেক বেশি ক্যাডারভিত্তিক হতে চলেছে।

সেই ধাঁচেই তৈরি হয়েছে সভার আমন্ত্রিতদের পরিচয় পত্র।আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের শাসকদলের বর্ধিত কমিটির সভা। সেই সভাতেই ‘দিদিকে বলো’র মতো বড় মাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ইভেন্ট লঞ্চ। থাকার কথা পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের। প্রাক্তন সাংসদরাও আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন। তাদের সামনেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পাখির চোখ ২০২১ বিদ্যানসভা নির্বাচন। তার একবছর আগেই কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূল। সোমবার এমন মেগা ইভেন্ট কোনও রাজনৈতিক দল এর আগে করেনি বলে দাবি তৃণমূলের।

ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, আগামী ৭৫ দিন রাজ্যজুড়ে মেগা লঞ্চকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এক লাখ কর্মী। ১০টি ধাপে কাজ করবেন তাঁরা। তৃণমূল কোন জায়গায় আলাদা কী কাজ করেছে, সরকার কোন প্রকল্পে কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন কর্মীরা।

প্রচারের অঙ্গ হিসেবে প্রতি বিধায়ককে নিজের কেন্দ্রে ১৫দিন করে থাকতে হবে। ওই সময়ে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করতে হবে। শহরাঞ্চলে প্রচারে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। গ্রামে ছোট ছোট সভা করতে হবে।

নিজের কেন্দ্রে বিখ্যাত ধর্মীয়স্থানগুলিতেও যেতে হবে বিধায়কদের। বাংলায় কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দরকার, সেটা মানুষকে বোঝাতে মাঠে নামছে তৃণমূল। উন্নয়নের কাজ, মানুষের পাশে মমতা, এই বার্তা নিয়েই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে পৌছে যাবেন তৃণমূলের কর্মীরা। দিদিকে বলোর পর দ্বিতীয় দফার প্রচারের প্রস্তুতি হিসেবে।

রাজ্যের সাড়ে আট হাজার গ্রামে দিদিকে বলো কর্মসূচি হয়েছে। সাতহাজার গ্রামে রাত্রিবাস করেছেন তৃণমূলের নেতারা। দিদিকে বলো-তে মূলত উঠে এসেছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা ও রাস্তা নিয়ে সমস্যার দিকগুলি। সোমবার সকাল দশটায় নেতাজি ইন্ডোরে হবে মেগা লঞ্চ। এবার দিদিকে বল কর্মসূচির পাশাপাশি মেগা ইভেন্ট লঞ্চ তৃণমূলকে জাতীয়তাবাদী আবেগের পাশাপাশি আরও বেশি ক্যাডারভিত্তিক করে তুলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleতৃণমূলের বৃহত্তম ‘ ইভেন্ট লঞ্চ’ ঘিরে নেতাজি ইন্ডোর জমজমাট