Sunday, November 9, 2025

রাহুল অরাজি, প্রিয়াঙ্কা রাজি না হলে ২২ বছর পর কংগ্রেস হবে ‘গান্ধী’-হীন, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

Date:

কণাদ দাশগুপ্ত

আগামী এপ্রিলেই সম্ভবত বড় চমক ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে৷

এপ্রিলেই কংগ্রেসের প্লেনারি সেশন হওয়ার সম্ভাবনা৷ এই অধিবেশনেই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে৷ আর এখানেই নাকি অপেক্ষা করছে চমক৷

নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি আর ফিরতে চান না৷ এই খবর কংগ্রেস সূত্রে৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নিজের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় নাকি বলেছেন, একবার ইস্তফা দেওয়ার পর ফের সেই একই পদ গ্রহন করা যায় না৷ তাই তিনি আর দলের শীর্ষ পদে যেতে চান না৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধী। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী ভাবে ওই পদের দায়িত্ব নেন সোনিয়া গান্ধী। শারীরিক কারনেই সোনিয়া কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়ার পরই ওই আসনে বসেন রাহুল গান্ধী৷ ইদানিং
সোনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছে৷ অথচ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের আরও সক্রিয় সভাপতির প্রয়োজন বলে মনে করছেন কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা।
কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বই মূলত এই প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে এসেছে৷ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শশী থারুরের মতো নেতারা তো প্রকাশ্যেই এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন৷ দাবিটি আরও জোরদার হয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হাতে ফেরার পর৷ তখন থেকেই এআইসিসির অন্দরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়, ফের কংগ্রেসের হাল ধরতে রাহুল গান্ধী এগিয়ে আসবেন৷ কিন্তু রাহুল নিজেই সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন না বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে এআইসিসি-র পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রায় সর্বস্তরেই আওয়াজ উঠেছে, “প্রিয়াঙ্কা লাও, দল বাঁচাও”৷ দলের সুপ্রিম পদে উত্তর প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছেন শীর্ষনেতারাও৷ প্রিয়াঙ্কার ক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, তিনি সংসদের কোনও কক্ষেরই সদস্য নন৷ কংগ্রেসের মতো দলের সভাপতি যদি সাংসদ না হন, তাহলে দলের গুরুত্ব হ্রাস পাবে৷ সে কারনেই সম্ভবত সাংসদ না হওয়া পর্যন্ত
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের দায়িত্ব নেবেন না৷ রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা দু’জনের কেউই দায়িত্ব না নিলে আগামী এপ্রিলেই সম্ভবত দলের ৮৯-তম সভাপতির
দায়িত্ব নিতে পারেন গান্ধী-পরিবারের বাইরের কেউ৷ তেমন ঘটলে, ১৯৯১-৯৬ সালে পিভি নরসিমা রাও এবং ১৯৯৬- ৯৮ সালে সীতারাম কেশরী-র পর গান্ধী-পরিবার বহির্ভূত কেউ৷ তবে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা একটা চলবে গান্ধী পরিবারের হাতেই দলের রাশ রাখার৷ সেক্ষেত্রে নাম একটাই-
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ সেটা অবশ্যই চমক৷ আবার গান্ধী-পরিবারের বাইরের কেউ এই পদে এলে সেটা হবে আরও বড় চমক৷

ফলে, এপ্রিলেই সম্ভবত বড় চমক ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে৷

Related articles

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...

টাকা পেয়েও কাজে দেরি! ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রশাসন, রিপোর্ট চাইল নবান্ন

প্রথম দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও বহু উপভোক্তা এখনও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি।...

ঝুলনের চোখে বাংলার সেরা ক্রিকেটার রিচা, মহিলা ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ

বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ক্রিকেট তারকা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন...

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
Exit mobile version