রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে সিঁথি থানায় গ্রেফতার ৫ বহিরাগত ছাত্রছাত্রী

ছবি “ফেক” নয়, বুকে-পিঠে লেখা অশ্লীল শব্দের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ৫ বহিরাগতরা পড়ুয়া। আর ক্ষমা চাইতে আসার পরই তাদের গ্রেফতার করে সিঁথি থানার পুলিশ। আপাতত তাদের থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তারা কাদের সঙ্গে এসেছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কী উদ্দেশেই বা তারা এমন অসভ্যতামি করলো সেটাও জানতে চাইছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্যই কি এমন অশ্লীল কাজ করেছিল তারা? প্রশ্ন ওঠে আসছে।

শুক্রবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা

এদিন ক্ষমা চাইতে আসার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে ওই ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিল। প্রসঙ্গত, বসন্ত উৎসবের নামে অসভ্যতামি। এবং অভিযোগ নিয়ে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসবের পালন করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে চূড়ান্ত অসভ্যতা করেছে পড়ুয়াদের একাংশ। কিছু ছাত্র রং ও লাল আবির দিয়ে বুকে অশ্লীল ভাষায় কিছু শব্দ লেখা রয়েছে। ছাত্রীদের পিঠেও লেখা হয়েছে ভাষায় প্রকাশ করার অযোগ্য ভাষা। যা ভাইরাল হতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেল।

রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে অভিযুক্ত আরেক ছাত্র

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব ঘিরে এই ছবি বিতর্ক কাণ্ডে স্পষ্ট হল বহিরাগত যোগ। এই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল অভিযুক্ত ৫ ছাত্রছাত্রী। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই হুগলির চুঁচুড়া এবং চন্দননগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়াদের বন্ধু-বান্ধব হওয়ার সুবাদেই তারা এসেছিল বসন্ত উৎসবে। আর তাতেই যত বিপত্তি। সেইসব অনুতপ্ত পড়ুয়াদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া না হয়েও বসন্ত উৎসবে অংশ নেওয়া ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের বেশ কিছু ছবি বিকৃতও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-পুরভোটের আগেই অমল দত্ত নামাঙ্কিত নতুন স্টেডিয়াম পেল দমদমবাসী

Previous articleবেনজির, দুজনের সিঁথিতে সিঁদুর পরালেন যুবক !
Next articleঅমিতের সঙ্গে বৈঠক সেরে বিস্ফোরক রাজ্যপাল