অমিতের সঙ্গে বৈঠক সেরে বিস্ফোরক রাজ্যপাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বললেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তিনি সাত মাস রাজ্যের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যা দেখেছেন এবং যে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, সে কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। কিন্তু সবটাই যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ, তা তাঁর কথাতেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। পুলিশের পলিটিক্যাল ইন অ্যাকশন থেকে বিধানসভায় তাঁর ভাষণ ব্ল্যাক আউট করাকে তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করা ও সাংবিধানিক লজ্জা বলছেন।

রাজ্যপাল বলেছেন, বেশ কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলি তিনি প্রকাশ্যে বললেন না। কারণ, সেগুলি স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যপাল যে বিষয়গুলি সামনে আনলেন…

১. যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যেভাবে তাঁকে বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে, তা দেশের কোথাও ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।

২. পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয় না ঘটনার পর। পুলিশ রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড। বাংলার প্রশাসন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমার উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

৩. ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট ভাষণে আমার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হলো না। ব্ল্যাক আউট করা হলো। সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হলো না! আবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশ কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা হলো। এটা কী জিনিস? গণতন্ত্রের পক্ষে এটা লজ্জার, আর সংবিধানের শুদ্ধতা রক্ষাও জলাঞ্জলি দেওয়া হলো।

৪. সরকারকে জিজ্ঞাসা করলে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার!

৫. নৈহাটিতে পরপর বিস্ফোরণ আসলে প্রশাসনের ব্যর্থতারই প্রমাণ।

৬. রাজ্যে সব ভোটেই সন্ত্রাস হয়। সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।

৭. নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে এই কারণে বসেছিলাম। স্পষ্টভাবে বলেছি, সরকারি দলের হয়ে কাজ না করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে।

৮. রাজ্য সরকার জনগণের অর্থ নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করছে। এটা কোনও রাজ্যের পক্ষেই শুভ হতে পারে না।

ধনকড় জানান, তিনিই এই বৈঠক চেয়েছিলেন। আধ ঘন্টার এই বৈঠকে তিনি রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা ব্যাখ্যা করেছেন। এবং আপাতত তাঁর টার্গেট সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করা।

Previous articleরবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে সিঁথি থানায় গ্রেফতার ৫ বহিরাগত ছাত্রছাত্রী
Next articleদোলের পরই পুরভোট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন