সম্ভবত অনির্দিষ্টকালের জন্যই অনিশ্চিত হয়ে গেলো এ রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব৷
ভুবনেশ্বরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাব এখনও ঝুলে আছে৷
এবং তারপরই শুক্রবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানিয়েছেন,
“নাম পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাব পেয়েছে। তবে নাম পরিবর্তনের পর্যালোচনার পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন”।
রাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ” ২০১৭-র ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০-র ২৮ ফেব্রুয়ারি সময়সীমায় শহর, গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে মোট
৬৭ টি প্রস্তাব কেন্দ্র পেয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন’ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।
১৪ টি ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব কেন্দ্রের পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে৷ এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পেলেও তাতে কেন্দ্র রাজি হয়নি৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবে রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে গেলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। রাজ্য বিধানসভা আগেই রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। প্রস্তাবে বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি তিনটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ করার কথা বলা হয়।