সত্যি না কল্পনা? ‘উহান-৪০০’ কীসের সংকেত, চলছে চর্চা

বইয়ের নাম: “The Eyes of Darkness”। প্রকাশিত ১৯৮১ সালে। লেখকের নাম, Dean Koontz। এই বইয়েরই বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায় ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে এক মারণ ভাইরাস সম্পর্কে। যার নাম এই বইয়ে উল্লেখ রয়েছে উহান-৪০০। কী সেই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য? লেখকের বর্ণনায় যেন উঠে এসেছে এক রুদ্ধশ্বাস ভবিষ্যৎবাণী। এই মারণ ভাইরাস শুধু মানুষের শরীরেই বাসা বাঁধে, শুধু মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাস চিনাদের হাতে এক অব্যর্থ জীবাণু অস্ত্র তুলে দেবে, যার পরিকল্পিত ব্যবহারে ধ্বংস হয়ে যাবে এক বিরাট অংশের মানব সভ্যতা। মানুষ এগিয়ে যাবে মৃত্যুর দিকে। এমনই ভয়ঙ্কর এই উহান-৪০০।

বইটিতে লেখা রয়েছে, এই ভাইরাস
উহান এলাকার একটি ল্যাবরেটরিতে
গোপনে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
পরবর্তীকালে চিন এটা ব্যবহার করবে,
সে দেশের গরিব জনগণকে হত্যা
করতে, অথবা শত্রু নিধনের লক্ষ্যে। ভাইরাসের প্রকোপে চিনের বহু দরিদ্র মানুষ মারা যাবেন,,
এর ফলে একদিকে দেশ থেকে গরীবি
হটানো যাবে এবং চিন অচিরেই বিশ্ব-
দরবারে নিজেকে সুপার-পাওয়ার
হিসাবে প্রতিষ্টা করতে পারবে। বইতে আরও লেখা রয়েছে, ভবিষ্যতে চিন এই ভাইরাসকে “বায়োলজিকাল মারণাস্ত্র” হিসাবে
ব্যবহার করবে।

গত শতাব্দীতে লেখা এই বইয়ের বিষয় ঘিরেই এখন তুমুল শোরগোল। তথাকথিত উহান-৪০০ কি তাহলে এই নভেল করোনাভাইরাস, যার উৎপত্তি চিনের উহানে? এই কি সেই জীবাণু অস্ত্র যা পৃথিবীকে আন্তর্জাতিক মহামারীর দিকে ঠেলে দিয়েছে? সত্যিই কি সবটাই পূর্বপরিকল্পিত নাকি সবটাই বিশুদ্ধ কল্পনা? এর উত্তর আপাতত অজানা। তবে এটা সত্যি যে বিগত শতাব্দীর এক বইয়ের বর্ণনা, সাংকেতিক নামের উহান-৪০০, মারণ ভাইরাসের আগাম ভবিষ্যৎবাণী বহু প্রশ্ন ও কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে।

আরও পড়ুন-Coronavirus : ইতালিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

Previous articleCoronavirus : ইতালিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
Next articleকরোনা আতঙ্ক: পরীক্ষা স্থগিত বিশ্বভারতীতে