তখন কনিষ্কের রাজধানী ছিল গাঙ্গেয় সমতলভূমির পাটলিপুত্র পর্যন্ত। পুরুষপুর ছিল সেই বিশাল রাজ্যের রাজধানী। বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্টপোষক কনিষ্ক ছিলেন শৈব। ইতিহাস বলে সম্রাট প্রতিদিন তের টনের বিশাল একটি শিবলিঙ্গকে পূজা করতেন। এরপর কালের নিয়মে সেই শিবলিঙ্গ ভেসে যায় দামোদরের জলে। ১৯৭২ সালে বর্ধমানের আলমগঞ্জ এলাকায় মাটি কাটার কাজ চলছিল। হঠাৎ গাইতির আঘাত লাগল পাথরের গায়ে। মাটি খুঁড়লে বেরিয়ে আসে বিশালাকার গৌরিপট্ট সহ একটি শিবলিঙ্গ। উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট ওজন তের টনেরও বেশি। নিকষ কালো পাথর দিয়ে নিপুনভাবে তৈরি এই লিঙ্গ। শ্রাবন মাসে এই লিঙ্গটি পাওয়া যায়। স্থাপন করা হয় আলমগঞ্জে। এর আকার আর প্রাচীনত্বের দিকে নজর রেখে লিঙ্গের নাম হয় মোটা শিব এবং বুড়ো শিব। পুরাতত্ত্ব বিভাগ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন এই লিঙ্গের বয়স ১৬০০ থেকে ১৭০০ বছর। অনেকের মতে কনিষ্ক নিজে এই কালো শিবলিঙ্গে নিয়মিত পুজো করতেন। শিবরাত্রিতে অগণিত ভক্তের ভিড় হয় মন্দিরে। মেলা বসে। কয়েকদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসে। তবে এত ভারি লিঙ্গের দামোদরে ভেষে যাওয়ার তত্ত্ব নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
