রোগ সারাতে পারে মসলা, জেনে নিন মসলার বিভিন্ন গুণ

আপনার প্রতিদিনের খাবার মোটেও পছন্দের নয়। এর থেকে অনেক ভালো কাবাব রোল, বিরিয়ানি কিংবা হাক্কা নুডল। জিভে ভালো। কিন্তু শরীর কি সব সইতে পারে? অথচ আমাদের রান্নাঘরে রয়েছে মনিমুক্তোর ভাণ্ডার। পুষ্টিবিদ অরিত্র খাঁ আজ আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন সেই সব কিছু মসলার সঙ্গে।

উন্নত হচ্ছে সোসাইটি। প্রতিদিনের চর্ব,চোষ্য, লেহ্য, পেও রা এখন নাম বদলাচ্ছে। ঘষাকাচে ঢাকা রেস্তোরাঁ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় দুর দুরান্ত পর্যন্ত স্নিগ্ধ কলকাতা। তারই মাঝে দুধসাদা প্লেটে ঝলসানো মাংস। গ্লাসে কালচে লাল অথবা সূর্যগোলা সোনালী পানীয়। খেতে ভালো। কিন্তু শরীরের নাম মহাশয় হলেও সব সয়না মোটে। অথচ মণিমানিক্যের মতন আমাদের ঘরে ছড়িয়ে থাকে হরেক খাবার। ঘরে ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলার গুনাগুন গুলি জেনে রাখুন।

বিভিন্ন মসলার উপকারিতা:

হলুদ: হলুদ যকৃতের সুস্থতায় অব্যর্থ,ঋতুকালীন ব্যথা কমাতে কাজে লাগে। হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি একটি ভালো অ্যান্টিসেপ্টিক।

 

 

আদা: আদা ক্যানসার ও ডায়াবেটিস সহ নানান রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আদায় শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতে আদা বেশ কার্যকর। আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। আদার মধ্যে থাকে ফাইটো কেমিক্যাল অ্যালালাইট সালফাইট যেটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে।

 

মেথি: মেথিতে থাকা ডায়াটরি ফাইভার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মেথির মধ্যে থাকে ট্রিগোনেলিন নামে এক ধরণের যৌগ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। হতাশা বা অবসাদ কাটাতে মেথি উপোযোগী।

 

 

গরম মসলা: এর মধ্যে লবঙ্গ কণ্ঠনালীর জ্বালা দূর করে এবং টনসিল কমানোয় সহায়তা করে। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। প্রতিদিন আধা চা চামচ দারুচিনির গুড়ো রক্তে খারাপ কোলস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমায়।

আরও পড়ুন-শহর কলকাতার কিছু নাম, যা ভুল জেনে এসেছি এতদিন