মুম্বইয়ে অফিস বন্ধ, দিল্লিতে বাজার বন্ধ, লখনউ, নয়ডা, কানপুরে শপিং মল, রেস্তোরাঁ বন্ধ

দিন যত এগোচ্ছে ভারতে ততই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা৷ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যাটা ২২৩। এই আতঙ্কের আবহেই দেশের বড় শহরে আংশিক লক-ডাউন শুরু হয়েছে৷

◾ মুম্বই :
মুম্বইয়ের সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। গোটা মুম্বইয়ের সব অফিস ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷ ওই একই সময়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকানও। তবে ছাড় দেওয়া হবে, মুদি, সবজি এবং ওষুধের দোকানকে। এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ওদিকে মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন।অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যাঙ্ক, বাস এবং ট্রেন পরিষেবা চালু থাকবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির কোনও পরীক্ষা হবে না। নবম এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে ১৫ এপ্রিলের পরে।

◾ দিল্লি :
এ দিন দিল্লির সব শপিংমল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট করে কেজরি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই শপিং মলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” দিল্লিতেও মুদি, সবজি এবং ওষুধের দোকানগুলোর মতো জরুরিভিত্তিক দোকানগুলো খোলা থাকবে৷ ওদিকে দিল্লির সমস্ত বাজার ২১ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করেছে। তবে হোম ডেলিভারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷ যাঁরা স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে রয়েছেন তাঁদের স্ট্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করেছে দিল্লি সরকার। কেজরি বলেছেন, “যাঁরা সেলফ কোয়রান্টিনের নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

◾ লখনউ, নয়ডা, কানপুর :
উত্তরপ্রদেশের লখনউ, নয়ডা এবং কানপুরেও সমস্ত শপিং মল এবং রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। সংক্রমণ এড়াতে এই ৩ শহরে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। লখনউয়ের খুরম নগরে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত সব অফিস বন্ধ থাকবে। করোনার চিকিৎসার জন্য সরকার লখনউয়ের ৬টি হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

Previous articleভাইরাস-ভয়: আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পলাতক 2
Next articleজনতা কার্ফুর সময় রেল চলবে না; জেনে নিন