ধন্যবাদ জ্ঞাপনে জুড়ল জ্যোতিষশাস্ত্র, পাঁচটাই নাকি মাহেন্দ্রক্ষণ!

করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জনতা কার্ফ’। এই কর্মসূচিতেই বিকেল পাঁচটায় জরুরি পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে হাততালি, ঘণ্টাধ্বনি বা কিছু না পেলে থালা বাজানোর আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘জনতা কার্ফু’-তে বিরোধীদলের তেমন আপত্তি না থাকলেও, মোদির এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন পন্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। তবে জ্যোতিষীদের মতে, এটাই না কি ভাইরাস তাড়ানোর বা তাকে কমজোরি করে দেওয়ার একটা মোক্ষম উপায়। কেন এমন বলছেন তাঁরা? তাঁদের কথায়, 130 কোটি মানুষ যদি একসঙ্গে হাততালি দেন, ঘণ্টা বাজান, শঙ্খ বাজান- তাহলে সেই শব্দ তরঙ্গ থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হবে তা যে কোনও ভাইরাসকে কাবু করে দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, 22 মার্চ অমাবস্যা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই দিনই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অশুভ শক্তি সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী হয়। এই পরিস্থিতিতে এই দিনই যদি তাদের শক্তিক্ষয় করা যায়, তাহলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে।
শুধু তাই নয়, বিকেল পাঁচটা নাগাদ চাঁদ একটি নতুন নক্ষত্র ‘রেবতী’-র সামনে দিয়ে যাবে। এই সময় যদি বিশাল শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করা যায় তাহলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে যে কোন ভাইরাস আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দেহে তৈরি হবে।
এখানে তারা উদাহরণ দিয়ে বলেছে, পুরাকালে শক্তি মন্দিরের চূড়ায় যে বড় ঘণ্টা থাকত, সেই ঘণ্টাধ্বনি যেকোনও অশুভ সময়ে বাজিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করা হত। তাদের মতে, কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তিই মোদিকে এই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সুতরাং সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছে দেশের জ্যোতিষশাস্ত্র মহল। (এই সম্পূর্ণ মত জ্যোতিষশাস্ত্র ভিত্তিক। বিজ্ঞানের কোনো প্রতিক্রিয়া এ বিষয়ে মেলেনি।)

Previous articleদেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে লকডাউন ঘোষণা রাজস্থানের
Next article১২ করোনা আক্রান্ত সফর করেছেন ট্রেনে, জানাল রেল