বিশ্বে এখন সবাই ত্রস্ত একটাই নাম নিয়ে করোনাভাইরাস। এর থেকে বাঁচতে নিজেরাই গৃহবন্দি হয়েছে মানুষ। নিজেকে বাঁচাতে, পরিবেশকে বাঁচাতে এখন হাত রেখে নয়, হাত ছেড়ে থাকাটাই উচিত। আর সেটাই একসূত্রে বেধেছে ইতালি থেকে ইছাপুরকে। এটার অপেক্ষায় কি ছিল পৃথিবী? করোনাভাইরাসের জেরে মৃত্যু হচ্ছে। দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। কিন্তু অর্ধেক খালি গ্লাসের একটা অংশ ভর্তি থাকে। সে ভর্তির দিকে যদি একবার চোখ রাখি, তাহলে একটা অন্য পরিসংখ্যান সামনে আসে। ‘বিবিসি’-র একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে এক ধাক্কায় কমছে দূষণের মাত্রা। চিন, ইতালি বা ব্রিটেনের বাতাসে দ্রুত গতিতে কমছে নাট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইড আর কার্বন-মনোক্সাইডের মাত্রা। পরিসংখ্যান বলছে, নিউইয়র্কের আকাশে দূষণের মাত্রা কমেছে 50 শতাংশের বেশি। উপগ্রহ চিত্র নয়, খালি চোখেও দেখা যাচ্ছে ঝকঝকে আকাশ। পরিযায়ী পাখির দল বা ডলফিনের ঝাঁকও না কি ফিরে আসছে। লাগাম পড়েছে বিশ্ব ঊষ্ণায়নের হারেও।
এদেশেও এর প্রভাব পড়বে। মানুষ যত গৃহবন্দি হবে, বন্ধ থাকবে মাঝারি ও বড় শিল্প, কমবে যান চলাচল, তত কমবে বায়ু দূষণের মাত্রা। চিনে গত দু’মাসে জ্বালানির ব্যবহার কমেছে 30 শতাংশের বেশি।
অজানা, অচেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে একজোট হয়েছে পৃথিবী। ঘরবন্দি মানুষ নতুন করে চিনছে পরিবেশ, পরিচিতদের।
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে বাজারে আসতে সময় নেবে কমপক্ষে একবছর। বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী একবছরে করোনা-বিপর্যস্ত মানুষ, দফায় দফায় ঘরবন্দি থেকে পৃথিবীর দূষণ কমিয়ে ফেলবে প্রায় ৪৫ শতাংশ। এর জেরে কমতে থাকবে হিমবাহের গলন। সে কারণে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত গৃহবন্দি থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো যেমন রোধ করা যাবে, তেমনই কমানো যাবে একবিংশ শতাব্দীর পরিবেশ দূষণ- এমনটাই আশা বিজ্ঞানীদের।
করোনা সতর্কতা: বিশ্ব জুড়ে গৃহবন্দি মানুষ কমাচ্ছে পরিবেশ দূষণ!
Date:
Share post: