করোনা-পরিস্থিতিতে বন্দিমুক্তির কমিটি রাজ্যে, অথচ আইনজীবী অমিল

শীর্ষ আদালত সোমবার রাজ্যগুলি ও বিচার বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছে করোনা-পরিস্থিতিতে সংশোধনাগারের চাপ কমাতে৷ বিচার সচিবের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্য লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিকে হাই পাওয়ার কমিটি গড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে সোমবারই বিচারাধীন বন্দিদের জামিনের বিষয়টি দেখতে কমিটি গড়েছে রাজ্য লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি। তবে অন্য এক বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ বন্দির জামিনে এখন বড় বাধা আইনজীবীদের কর্মবিরতি। আদালতে জামিনের আর্জি জানানোর জন্য আইনজীবী পাওয়া যাবে কি’না, তা নিয়ে চিন্তায় বিচার বিভাগ। এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জেলের হাল সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জেলের চাপ কমাতে হাইকোর্ট কী ব্যবস্থা নেয়, সে দিকেও তাকিয়ে রয়েছে সব তরফ।

◾সংশোধনাগারের চাপ কমাতে রাজ্যে বিচারাধীন বন্দিদের অন্তর্বর্তী জামিন এবং ১০ বছরের বেশি সাজা খেটে ফেলা বন্দিদের ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে ছাড়ার ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা।

◾দরকারে সংশোধনাগারেই কোর্ট বসিয়ে যে-সব মামলায় কম সাজা হতে পারে, এমন বন্দিদের জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

◾বর্তমানে রাজ্যের জেলগুলিতে ২০ হাজারের কিছু বেশি বন্দি থাকতে পারে৷

◾কিন্তু সরকারি হিসাব বলছে, প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার বন্দি রয়েছেন।

◾এর মধ্যে ১৮ হাজার ৫০০ বন্দিই বিচারাধীন।

◾বন্দির বর্তমান সংখ্যা সাধারণ সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে মানছে কারা দপ্তরও।

◾এই পরিস্থিতিতে জামিন আর প্যারোলে বন্দিমুক্তিই একমাত্র পথ বলে মনে করা হচ্ছে।

◾জামিনের বিষয়টি বিচারাধীনদের জন্য।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে কিছু প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন।

◾শুধু এ রাজ্যে নয়, সারা দেশেই জেলগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। দেশের ৪ লক্ষের মতো ধারণক্ষমতায় ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৩৭০ জন বন্দি রয়েছেন৷

◾রাজ্যের লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি-র সদস্য-সচিব দুর্গা খৈতান বলেছেন, ‘আমাদের প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের এই পরিস্থিতিতেও জামিনের মামলার জন্য পাওয়া যাবে। তাঁরা বিভিন্ন আদালতে বন্দিদের সহযোগিতা করবেন।’

 
Previous articleচায়ের দোকানে হানা পুলিশের, তাড়া খেলেন খরিদ্দাররা
Next articleরাজ্যে এখনই মোবাইল কোর্ট বা ভিডিও কনফারেন্সে জামিনের ব্যবস্থার দাবি