রাজ্যে খাবারের সঙ্কট যাতে না হয়, উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

‘লকডাউন’- এর সময় রাজ্যে জরুরি পরিষেবা সচল রাখতে একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মানুষ তো না-খেয়ে থাকবেন না। তাঁদের জরুরি পরিষেবা দিতে আমরা দায়বদ্ধ।” খাদ্য সঙ্কট যেন না তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এ দিন প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে দায়িত্বও ভাগ করে দিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ :

◾মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি টাস্ক ফোর্স করা হয়েছে৷ এই দু’টি কমিটিই সাধারণ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা-সহ সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।
টোল-ফ্রি নম্বর – 1070,
ল্যান্ডলাইন নম্বর –
033-2214-3526

◾কোনও এলাকায় কেউ খাবার জোগাড় করতে সমস্যায় পড়লে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে৷।

◾জরুরি পরিষেবা না-পেলে স্থানীয় থানা বা লালবাজারে জানাতে হবে।

◾থানার ওসি-দের সক্রিয় হতে হবে। নির্দেশ না-মানলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

◾লকডাউনের সময়ও খাদ্যদ্রব্যের বাজার নির্দিষ্ট সময়ে খোলা থাকবে।

◾কোথাও কোথাও জরুরি জিনিসের হোম ডেলিভারি পরিষেবায় বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে৷ এই সমস্যার সমাধানে আবশ্যিক পণ্যগুলির হোম ডেলিভারি সচল রাখতে দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।

◾সব রেশন দোকান খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দরকারে ১ মাসের চাল একবারে দিয়ে দেওয়া হবে৷

◾খাদ্য দফতর আশ্বাস দিয়েছে, অন্তত ৬ মাসের চাল মজুত আছে।

◾মুদিখানার জিনিস ও ওষুধ নিয়েও সমস্যা হবে না৷ বেআইনি মজুত আটকাতে নজর রাখা হবে।

◾আবাসনগুলির কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হয়েছে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা একা থাকা কেউ অসুবিধায় পড়লে সহযোগিতা করতে।

◾ফুটপাতবাসীদের নির্দিষ্ট নাইট শেল্টারে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। তাঁদের খাওয়ার দায়িত্ব পুলিশ এবং পুরসভাগুলির৷
কমিউনিটি কিচেন চালু হচ্ছে। সব থানাকে এই পরিষেবা বহাল রাখতে হবে৷
◾পুলিশ ডেলিভারি- কর্মীদের ‘পাস’ দেবে। তা দেখিয়ে তাঁরা পার্শ্ববর্তী জেলাতেও যাতায়াত করতে পারবেন।

◾অনেক জায়গায় আনাজ বিক্রিতে বাধাদানের অভিযোগ উঠছে। মোটবাহকদেরও বাজারে আনাজ নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে অনেক জায়গায় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
স্থানীয় থানার ওসি, আইসি, বিডিও, এসডিও, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের এই দিকে নজর রাখতে হবে৷

Previous articleশহরে একা থাকা অশক্ত, বয়স্কদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleকরোনা নিয়ে এ কী কথা শোনাল ভারতের গবেষণা সংস্থা!