লকডাউনের সময়ে সবথেকে জরুরি ইতিমধ্যেই অন্যান্য কিছু রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা৷ এই লকডাউনের সময় এই ধরনের রোগীরা খুবই অসহায় বোধ করছেন৷

কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ নিজে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্তও বটে৷ শহরের রোগীদের স্বার্থে অতীন ঘোষ এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিনন্দনযোগ্য সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন৷

শুক্রবার তিনি বলেছেন, “কলকাতা পুর এলাকায় অসংখ্য মানুষ আছেন যারা পুরসভার
কলকাতা পুরসভার হেলথ ইউনিটে চিকিৎসারত৷ এদের সংখ্যাগরিষ্ঠই প্রবীণ, এদের অনেকেই একা থাকেন, অসুস্থতার কারনে হাঁটাচলা করতেও পারেন না৷ করোনা- সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে৷ এই সময় তাঁদের বাইরে আসাও ঠিক নয়৷”
অতীনবাবু এর পরই গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এদিন বলেছেন, ” সেই কারনেই পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর ঠিক করেছে যে সমস্ত রোগীরা পুরসভার
কলকাতা পুরসভার হেলথ ইউনিটে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, সিওপিডি, অ্যাজমা, টিবি রোগের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা করাচ্ছেন এবং পুরসভার দেওয়া ওষুধ ব্যবহার করছেন, তাঁদের কাছে পুরসভা এবার ওষুধ পৌঁছে দেবে৷ এই রোগীরা নিশ্চিন্তে বাড়িতে থাকুন৷ কলকাতা পুরসভাই আপনাদের কাছে হাজির হবে আপনার ওষুধ নিয়ে৷”

ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, “রোগীদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিতে হলে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন৷ তাই এই ধরনের রোগীদের কাছে অনুরোধ, দ্রুত তাঁরা প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জানান৷ ওষুধ বাড়িতে পৌঁছে দিতে জানা দরকার, তাঁদের
◾নাম-
◾বয়স-
◾ঠিকানা-
◾তাঁর বা নিকটবর্তী কারো ফোন নম্বর-
◾কোন কোন ওষুধ পুরসভা তরফে তাঁদের সরবরাহ করা হয়, তার নাম-
এই তথ্য ই-মেল করে জানাতে হবে৷ মেল আইডি- mmichealthkmc@gmail.com/cmhomail@gmail. com
একইসঙ্গে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “প্রাইভেট হেলথকেয়ারে চিকিৎসারত নাগরিকরাও এই তথ্য আমাদের জানান। প্রবীণ রোগীদের কাছেও আমরা ওষুধ পৌঁছে দেবো৷”

ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টেও এই আবেদন জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র৷ লিখেছেন,
Patients of Diabetes, Hypertension, COPD & Asthma, TB etc. under KMC Healthcare, who are helpless & alone, may please share their details of Name, Age, Address & Details of drugs being taken to facilitate their treatment uninterruptedly.
Similar patients under private care may also share the above information.

এই কঠিন পরিস্থিতিতে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সবার প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে৷ রোগীরাও নিজেদের যথেষ্ট নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছেন৷
