Saturday, May 17, 2025

শুধুই ঘরবন্দি থাকা নয়, নিশ্চিত করতে হবে বাড়ির পরিচ্ছন্নতাও

Date:

Share post:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আরও বেশ কিছু দিন আমাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে। তাই নজর রাখতে হবে বাড়ি কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছে৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গৃহবন্দি পরিস্থিতিতে গোটা বাড়ি সাফ-সুতরো রাখা বাধ্যতামূলক। এতে কোনও ভুল হলে গৃহবন্দি থাকলেও নিজেদের ঘর-বাড়িকে করোনা বা অন্য ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবো না।

🔶 এখন কী কী করা দরকার :

◾যতই বাড়িতে থাকুন, দিনে কমপক্ষে বার দু’য়েক জামাকাপড় বদলাতে হবে। কারণ, ব্যবহৃত পোশাকে সব সময়েই নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এসে জমে। এই পরিস্থিতিতে যা খুবই বিপজ্জনক।

◾২৪ ঘন্টা একই জামা পড়ে থাকলে সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।

◾ বাড়িতে থাকলেও বার বার দু’টি হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত। ঘরের দরজা, জানলা, টেবিল, চেয়ার ছোঁয়ার পর সেখান থেকেও গৃহবন্দি হওয়া সত্ত্বেও বাড়ির লোক সংক্রমিত হতে পারেন।

◾ঘরে ঝাড়ু দেওয়ার সময় পরতে হবে মাস্ক

◾ঘরের মেঝে বা দেওয়ালের নীচের দিকের অংশগুলি দিনে অন্তত দু’বার ভাল ভাবে ঝাড়ু দিতে হবে।

◾তার পর ফিনাইল বা অন্য কোনও এ জাতীয় তরল পদার্থ জলে মিশিয়ে সেই সব জায়গা ভাল ভাবে মুছে ফেলতে হবে।

◾যিনি ঘর সাফাই করছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাঁকে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে। না হলে তাঁর থেকেই ছড়াতে পারে সংক্রমণ। কারণ, ঘরের ধুলোবালিতে মিশে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ায় সবচেয়ে কাছে আসছেন তিনিই।

◾ঘর সাফাই করার সময় এখন হাতে গ্লাভস পরলে ভালো৷

◾ঘর সাফাই করার পর খুব ভালো ভাবে দু’টি হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

◾খেয়াল রাখতে হবে, বাড়িতে যেন কোনও ভাবেই আবর্জনা না জমে থাকে।

◾সব আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। সেখান থেকে অন্যত্র পরে সরিয়ে নিয়ে যাবে সাফাইকর্মীরা।

◾বাড়িতে যাতে পোকামাকড় বা মশার উপদ্রব না বেড়ে যায়, সেটাও এখন খেয়াল রাখতে হবে।

◾বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ব্লিচিং পাউডার ছড়াতে হবে। কীটনাশক স্প্রে করতে হবে দিনে-রাতে বেশ কয়েক বার। মশা মারার ধূপ বা তেলের ব্যবহার করতে হবে৷

◾যাঁরা ক্রনিক হাঁপানির রোগী, মশা মারার ধূপ বা তেলের ব্যবহারে তাঁদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাঁদের ঘরে মশারি টাঙিয়ে রাখা উচিত।

◾বাড়িতে রান্নাবান্না বা খাবার পরিবেশনের সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।

◾হাতে গ্লাভস পরে নিলে ভাল হয়৷ না হলে রান্নাবান্না ও পরিবেশনের আগে দু’টি হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে খুব ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

◾যাঁদের বাড়িতে প্রচুর গাছ আছে, সেই গাছ পরিচর্যার সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। হাতে পরে নিতে হবে গ্লাভস।

◾এসি চালাবেন না, ফ্রিজের জল খাবেন না৷ এই পরিস্থিতিতে এসব উচিত হবে না। কারণ, এয়ার কন্ডিশনারের মধ্যে জমে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস। এয়ার কন্ডিশনারের মাধ্যমে বাড়িতে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। এখন সব সময় ফ্রিজের জল খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে। সর্দি হতে পারে। তার থেকে হাঁচি, কাশি হতে পারে। তাই ফ্রিজের জল না খাওয়াই উচিত।

◾আর যাঁরা বিভিন্ন রোগের জন্য নানা ধরনের ওষুধ খান, তাঁদের নিয়মিত সেই কাজ করতে হবে৷

spot_img

Related articles

সরকারি জমির রেকর্ড এবার অনলাইনে, ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে মিলবে সব তথ্য

সরকারি খাস জমির বেআইনি হস্তান্তর ও দখল রুখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবার থেকে ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালের...

কালিয়াচকের হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত মূল অভিযুক্ত, ফাঁসির সাজা ঘোষণা আদালতের

প্রায় চার বছর আগে মালদহের কালিয়াচকে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর চার খুনের ঘটনায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হলেন পরিবারেরই ছোটো...

সেনার বীরত্বকে সম্মান: ত্রিপুরা, অসমেও তৃণমূলের শহিদ তর্পণ

পাকিস্তানের জঙ্গিদের থেকে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে শহিদ ভারতীয় সেনার (Indian Army) জওয়ান থেকে বিএসএফ (BSF)। পাকিস্তানের...

বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে ‘নাটক’! তীব্র কটাক্ষ ফিরহাদ-কুণালের

বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে বিশঙ্খলা তৈরি করছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকাশ ভবনের কর্মীদের অফিস থেকে বেরনোর পথ...