করোনা-পরিস্থিতিতে
রাজ্যের ৩ হাজার বন্দিকে প্রথম দফায় মুক্তির সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি৷
সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশে এই রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে বন্দির চাপ কমাতে নিযুক্ত কমিটি প্রথম দফায় ৩ হাজারের বেশি বন্দিকে জামিনে ও প্যারোলে মুক্তির সুপারিশ করেছে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা রাজ্য লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দত্ত, এডিজি (কারা) এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্তা। গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় ই-মেল এবং ফোনে আলোচনার পর এই বৈঠক হয়৷
◾মুক্তির সুপারিশ যাদের করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ২ হাজারের বেশি বিচারাধীন বন্দি এবং প্রায় ১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন।
◾বিচারাধীন বন্দিদের অন্তর্বর্তী জামিনে এবং সাজাপ্রাপ্তদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে।
◾প্রথম দফায় অপরাধে অভিযুক্ত বিচারাধীনদের অন্তর্বর্তী জামিনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
◾যে সব অপরাধে সাজা কম মেয়াদের, সেই সব মামলায় বিচারাধীন বা সাজাপ্রাপ্তদের নামও বিবেচনা করা হয়েছে।
◾বর্তমানে রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে ২৬৫০০ বন্দি রয়েছেন।
◾১০ শতাংশেরও বেশি বন্দিকে একসঙ্গে ‘মুক্তি’র এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন।
◾পকসো মামলায় অভিযুক্ত, ধর্ষণ বা বেশি পরিমাণে মাদক পাচারের মামলায় অভিযুক্তদের ব্যাপারে কোনও সুপারিশ করেনি কমিটি।
◾এ রাজ্যে অপরাধের জন্য জেল খাটছেন এমন ভিন রাজ্যের অভিযুক্তদের ব্যাপারেও কমিটি কোনও সুপারিশ করেনি।
◾ দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ২৩ তারিখ সব রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা হাই-পাওয়ার কমিটি গড়ে বন্দিদের দ্রুত মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয়।
◾কলকাতা হাইকোর্টও গত ২৪ মার্চ এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে ৩১ মার্চ রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
◾রাজ্যে বন্দিদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আইনজীবীদের কর্মবিরতি।
◾রাজ্য বার কাউন্সিল কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় বহু আইনজীবী ইচ্ছে থাকলেও শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।
◾রাজ্য কারা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবতীয় নথিপত্র আজ, শনিবারের মধ্যে সংশোধনাগারগুলিতে পৌঁছে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বন্দিদের ছাড়ার কাজ শুরু হবে।
◾একই সঙ্গে বন্দিদের জামিন ও প্যারোলের ক্ষেত্রে যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা যাতে লঙ্ঘিত না-হয়, তা দেখার জন্য পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
◾বিচারাধীন বন্দিদের অন্তর্বর্তী জামিনের ক্ষেত্রে নথি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় আদালতে পাঠিয়ে লিগাল এইডের প্যানেলভুক্ত আইনজীবীরা জামিনের ব্যবস্থা করবে।
◾আগামী ৬ এপ্রিল পরবর্তী বৈঠকে বসবে কমিটি।