তিনি বহরমপুরের রবিনহুড। তাঁকে ভোটে জেতাতে, নিজের ছেলের মৃতদেহ ঘরে রেখে ভোট লাইনে দাঁড়ান মা। আজ করোনা পরিস্থিতিতে গোটা ভারতের বাঙালিদের কাছে অধীর চৌধুরী ত্রাতার ভূমিকায়।তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগের কথা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকা বাঙ্গালীদের সাহায্য করতে নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন বহরমপুরের সাংসদ । কোথাও তিনি যোগাযোগ করছেন প্রশাসনের সঙ্গে, কোথাও বা বন্ধু-বান্ধবদের কাছে অনুরোধ করে জোগাড় করছেন আটকে পড়া মানুষগুলির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কিংবা থাকার জায়গা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে ৩০ লক্ষ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের এক মাসের বেতন তুলে দিয়েছেন।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে নিজের এমপি ল্যাড থেকে এক কোটি টাকা সরকারকে অনুদানের
কথা জানিয়েছেন। অন্যান্য সাংসদরা যেখানে নিজের কেন্দ্রে ফিরে গিয়েছেন, সেখানে অধীর রঞ্জন চৌধুরী দিল্লির হুমায়ুন রোডে অফিস বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছেন গোটা দেশে আটকে পড়া বাঙালিদের সাহায্যের কাজ। কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কাগুজে লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন জননেতা হিসেবে নিজের ভূমিকা তুলে ধরলেন বহরমপুরের সাংসদ।
শুধু কাগুজে লড়াই নয়, করোনার বিরুদ্ধে মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন বহরমপুরের রবিনহুড অধীর চৌধুরী
Date:
Share post: