সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো, ১০০ জনকে তলব লালবাজারের, হতে পারে গ্রেপ্তার-ও

পরিষেবা চালু রাখা, লকডাউন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি হাজারো কাজে দিনরাত এক করে ফেলছে পুলিশ ৷ টেনশনও কম নয়৷ কিন্তু এসবের থেকেও পুলিশ ও প্রশাসনের বড় দুশ্চিন্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব- সংক্রমণ ঠেকানো।

‘খবর’-এর নামে এমন সব তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে যা অন্য সংকট তৈরি করছে৷ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে গুজব রুখতে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কাজেও নেমেছে৷
এক তরুণীকে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ কারন, ইনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছিলেন,
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মধ্যেও ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুজব ছড়ালে কাউকে ছাড়া হবে না। কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ, এসটিএফ, সিআইডি-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য বিভিন্ন বয়সের অন্তত ১০০ জনকে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। আর ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়িয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হয়েছে, এমনটা যেখানে পুলিশ মনে করছে, সেখানে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় এমন অন্তত ১৫টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ালে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, জানিয়ে দিয়েছে লালবাজারও।ভুয়ো খবর বা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর ঘটনায় পোস্টের গুরুত্ব ও তথ্য বিচার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ বা হাঙ্গামা বাধানোয় প্ররোচনা দান, ৫০৪ বা শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে কোনও মন্তব্য করা, ৫০৫ বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো ইত্যাদি ধারার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬সি ধারাও প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োগ করা হচ্ছে।গুজব ছড়ানোর গুরুতর অভিযোগে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, লালবাজার সূত্রে এমন ইঙ্গিতও মিলেছে।
পুলিশের পরামর্শ, শুধুমাত্র সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য বা কেন্দ্র বা রাজ্যস্তরের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে তথ্য জানুন। একটি মাত্র ভুয়ো খবর বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Previous articleলকডাউনে এবার দূরদর্শনে ফিরছে ছোটদের প্রিয় “শক্তিমান”
Next articleসংকটকালে ভারভারা, সোমা সেন-দের মুক্তির দাবি