মনে থাকবে স্যার, অবশ্যই মনে রাখা হবে

সুজিত বড়ুয়া

এক সাংবাদিক এনাকে একবার প্রশ্ন করেছিলেন, “ভারতবর্ষে মুকেশ আম্বানি ধনীতম ব্যক্তি, রতন টাটা নন কেন?” রতন টাটা উত্তর দিয়েছিলেন, “কারণ আমরা শিল্পপতি, ওনারা ব্যবসাদার।

আমি ভারতবর্ষকে শুধুমাত্র ইকোনমিক সুপারপাওয়ার রূপে নই, বরং একটা সুখী দেশ হিসেবে বেশী করে দেখতে চাই।”

হ্যাঁ, চাইলেই উনি ভারতের নয় বিশ্বের ধনীতম মানুষ হতে পারতেন কিন্তু ওই যে মনের দিক থেকে বড়লোকদের ওসবের কেয়ার থাকে নাকি!

তিনি আবার প্রমাণ করলেন। এক লহমায় লাভ ক্ষতির অঙ্ক ভুলে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর বৈশিষ্ট্য।
‘হামনে আপকি নমক খাই হ্যায় সর্দার’ এর ডায়লগ রতনজি বললে হয়তো ‘আপকি’-র জায়গায় ‘দেশ কি’ বলতেন।

“দেশকি নমক্” খেয়ে যিনি দেশের জন্য বিহ্বল, দেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ এলে যিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন তিনি আবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যেমনটা আমরা সবাই আশা করেছিলাম।

রতন টাটা প্রথমে করোনা মোকাবিলায় ৫০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন
মোট পাঁচটি খাতে এই টাকা খরচ করা হবে, যে গুলি হল— ১. স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার সরঞ্জাম কিনতে
৩.আক্রান্তের শ্বাসযন্ত্র পরীক্ষার সরঞ্জাম কিনতে
৩. বেশি করে ডাক্তারি পরীক্ষার সরঞ্জাম কিনতে ৪.চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতিতে এবং
৫.এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে।

এবং এরপরে টাটা সন্সের পক্ষ থেকে আরো ১০০০ কোটি টাকা সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ১৫০০ কোটি টাকা করোনা মোকাবিলা খাতে দিলেন রতন টাটা।

সাথে সেই সমস্ত “ব্যবসাদারদের” কষিয়ে একটা চড় দিলেন যারা ‘দেশের নমক্’ তো খান কিন্তু বিপদে কোনো কাজে আসেন না। শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে আপনার সামনে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Previous articleআমেরিকায় লককডাউন 30 এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ল
Next articleদ্বিতীয় মৃত্যু : বিদেশ যাননি! বয়স ৫৩ নয় ৪৩!