লকডাউনের দুই সুফল: কমছে অপরাধ, কমছে পরিবেশ দূষণ

ভারতে ২১ দিনের লকডাউনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা আটকানো গেল তার হিসেব পেতে এখনও সময় দিতে হবে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সার্বিক পরিসংখ্যান যাচাই করে আরও সপ্তাহ দুয়েক পর সেই চিত্র কিছুটা স্পষ্ট হবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের উপসংহারে পৌঁছতে দেরি হলেও দুটি হিসেব এখনই স্পষ্ট। তা হল, চলতি লকডাউনের ফলে অপরাধ ও দূষণ দুইয়ের গ্রাফই নিম্নমুখী।

লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভটিজিং, খুন-খারাপি সবই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দাগী অপরাধীরাও করোনার ভয়ে ঘরে সিঁধিয়েছে। এখন অপরাধ বলতে মূলত লকডাউন অমান্য করার প্রবণতা আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বেআইনি মজুত ও কালোবাজারি। সারা ভারতেই প্রায় এরকমই চিত্র। কলকাতা পুলিশের হিসেব বলেছে, মার্চের শুরুতে সপ্তাহে যত অপরাধ হয়েছে, মার্চের শেষ সপ্তাহে লকডাউন চলাকালীন তা প্রায় ৫০ শতাংশ কম।

অন্যদিকে, এই সময় পরিবেশ দূষণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। লকডাউন পরিবেশের সার্বিক উন্নতিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। কলকাতা সহ ভারতের সব মেট্রো সিটিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। অত্যাবশ্যক পণ্য পরিবহন বাদে বিমান, রেল, সড়ক পরিবহন বন্ধ রয়েছে। অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ। খুব সীমিত ক্ষেত্র ছাড়া রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সমস্ত গণজমায়েত নিষিদ্ধ। ফলে বায়ুদূষণ একধাক্কায় কমে গিয়েছে। আগামী দুসপ্তাহে পরিবেশ আরও নির্মল হবে আশা করা যায়। গোটা বিশ্বেই করোনাজনিত কমবেশি লকডাউন চলছে। পরিবেশ ও জলবায়ুর উপর এর সুফল পড়তে বাধ্য।

 

Previous articleনরেন্দ্রপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু পশুর মৃত্যু
Next articleআজই ছুটি রাজ্যের প্রথম তিন করোনা আক্রান্তের, তবে থাকতে  হবে হোম আইসোলেশনে