করোনা সতর্কতা: কোচবিহারে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১০ হাজার

দেশ তথা জুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। তবে কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ রোগী চিহ্নিত হয়নি। সাবধানতা অবলম্বনে জেলায় ১০ হাজারের উপরে মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

বুধবার এই তথ্য জানালেন, কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। তিনি বলেন, ” এই মুহূর্তে কোচবিহার জেলায় একজন ব্যক্তি আইসোলেশন রয়েছে। তিনি বিমান যাত্রা করেছিলেন উত্তরবঙ্গের মৃত করোনা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে । এছাড়া আরও একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। যিনি দিল্লি থেকে কোচবিহারে এসেছেন। তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলায় মোট ২৩ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন রয়েছেন কোচবিহার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম অস্থায়ী সেন্টারে। ৩ জন রয়েছেন তুফানগঞ্জ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। জেলা জুড়ে ১০ হাজার ১৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের উপর নজর রাখছে।

আইসোলেশন থাকা ব্যক্তির লালারস পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার দুপুরে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে কোচবিহার জেলায় মোট ১২২ টি ভবন কে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৬৬০০ মানুষকে অনায়াসে সরকারি তত্ত্বাবধানেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হবে।

তবে মানুষের অসচেতনতা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনা মোকাবিলায়। লকডাউনকে উপেক্ষা করে গোটা জেলা জুড়ে বাজার, হাটে উপচে পড়া ভিড়। মানুষের সুবিধার্থে খুলে দেওয়া হয়েছিল বাজার, সেই বাজার হয়ে উঠছে সমস্যার কারণ। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না মানুষ। এদিন বেশ কিছু রেশন দোকানে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেশন তুলছেন। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।