আইসোলেশন ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কেমন? জানালেন মনামী

করোনা আক্রান্ত রোগীরা থাকছেন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সারাদিনের সঙ্গী বলতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কেমন সেই অভিজ্ঞতা তা নিজেই জানালেন করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী তরুণী।

এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মনামী বিশ্বাস। জ্বর হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে সোজা পৌঁছে যান বেলেঘাটা আইডিতে। ১৪ দিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরেন তিনি। হাসপাতালের অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তরুণী।

মনামী জানান, সম্পূর্ণ কাঁচের ঘর। চিকিৎসার যাবতীয় যন্ত্রপাতি সেখানে রাখা। সব সময় মাস্ক পরতে হত বলে জানিয়েছেন তরুণী। মনামী বলেন, “একা ঘরে টানা ১৪ দিন থাকার কথা নয়। ওই সময়টাতে চিকিৎসকরা উৎসাহ দিতেন। লড়াইয়ে পাশে পেয়েছি পরিবারকেও। ”

তিনি জানান, ” ১৭ মার্চ আমি ইউকে দূতাবাসকে ফোন করলেও, কেউ ধরেনি। কোন কোন উপসর্গ দেখে বোঝা যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে। ” জ্বর বা কাশির মতো কোনও উপসর্গ থাকলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে থাকুন। সময় সময় হাত ধুয়ে নিন। এই মুহূর্তে সরকার এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার কথা বলেছেন তরুণী।”
পাশাপাশি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ জানিয়েছেন মনামী।

Previous articleমাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই রসিকতা আর কতোদিন সহ্য করতে হবে!!!
Next articleহোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা, অভিযোগ মুর্শিদাবাদবাসীর