গর্জন কিন্তু বর্ষালো না। আশা ছিল মোদি প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত কথা বলবেন। হল উল্টো।

“আমরা কেউ একা নই, একলাও নই। আমরা, এই দেশের প্রতিটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর সম্মিলিত মহাশক্তিই করোনা-বিপর্যয়ের অন্ধকারে আশার আলো জ্বালবে।” জাতীয় লকডাউনের মধ্যে শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে দেশবাসীকে এভাবেই উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে সকালে যাঁরা টিভি খুললেন তাঁরা অধিকাংশই হতাশ।

তাঁর এদিনের ভাষণটি ছিল মূলত দেশবাসীকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা। লকডাউনের এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে নৈরাশ্যের অন্ধকার যাতে গ্রাস না করে সেজন্য এক প্রতীকী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টায় সবাই ৯ মিনিটের জন্য নিজেদের ঘরের সব আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইল ফোনের আলো জ্বেলে ১৩০ কোটির মহাশক্তিকে অনুভব করুন। এই আলো জ্বেলেই আমরা সংকটের অন্ধকার থেকে মুক্তির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, এই সময় কেউ রাস্তা, গলি বা মহল্লায় বেরোবেন না, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখবেন, লকডাউনের কোনও নিয়ম ভাঙবেন না।
করোনা বিপর্যয় ও লকডাউনের চাপে বিধ্বস্ত দেশের আমজনতার মনোবল বাড়াতে প্রতীকী অথচ তাৎপর্যপূর্ণ এই কর্মসূচির ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
