করোনা উপসর্গ থাকার পরেও রোগীর চিকিৎসা হয়েছে মেডিসিন ওয়ার্ডে। মহেশতলার 34 বছরের ওই যুবকের মৃত্যুর পরে রিপোর্টে জানা যায়, তাঁর করোনা সংক্রমণ হয়েছিল। চিকিৎসকদের অভিযোগ, করোনা উপসর্গ থাকা সত্বেও তাঁর চিকিৎসা হয় পুরুষ মেডিসিন বিভাগে। এমনই উদাসীনতার খেসারত দিতে হল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ 65 জনকে একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইন পাঠানো হল।

সূত্রের খবর, হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এনআরএস-এ ভর্তি হন ওই যুবক। পরে তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়৷ মৃত্যুর পরে রিপোর্টে জানা যায়, রোগী কোভিড 19 আক্রান্ত ছিলেন৷ যদিও করোনার কারণেই তাঁর মৃত্যু কি না তা এখনও জানায়নি বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এরপরই তড়িঘড়ি এনআরএস হাসপাতালের অন্তত ৬৫ জন ডাক্তার-নার্স- স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ তাঁদের মধ্যে পিজিটি, হাউসস্টাফ ও ইন্টার্নরাও রয়েছেন৷ ৬৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৩২ জনকে স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এই জরুরি পরিস্থিতিতে একসঙ্গে 65 জন কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।,