লাইভে কী বলছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?

১. বহু মানুষকে আমরা হারিয়েছি এই করোনা হামলায়।

২. কীভাবে এই লড়াইটা আরও শক্তিশালী করা যায় তার জন্য লাইভে আসা।

৩. যারা ভোট দিয়েছেন তাদেরও সংসদ আমি। যারা দেখেননি তাদের সাংসদ। ডায়মন্ড হারবারের ১৮ লক্ষ মানুষ আমার পরিবারের মতো।

৪. আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে।

৫. হাত ধোয়া, স্যানিটাইজ করা বা মাস্ক পড়া এগুলো বাধ্যতামূলক।

৬. ভিটামিন খাওয়া। মূলত ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত।

৭. একটু ব্যায়াম করা এবং হাঁটা উচিত

৮. হার্টের মধ্যে যে অ্যালভিওলাই থাকে হাঁটার ফলে সেগুলো ঠিকঠাক কাজ করে। সেই কারণে হাঁটা বা ব্যায়াম করা দরকার।

৯. ইমিউনিটি বাড়াতে প্রোটিন খাওয়া দরকার, দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং একটু বেশি পরিমাণে জল খাওয়া।

১০. মাস্ক তাদেরই পড়া উচিত যাদের জ্বর, কাশি, গায়ে ব্যাথার উপসর্গগুলো হয়েছে। যাদের হয়নি পড়বেন না।

১১. যারা বিকেলে চা খেতে যাচ্ছেন, আড্ডা মারতে যাচ্ছেন বা বাড়ির গলিতে গল্প করছেন, তারা কিন্তু সেলফ আইসোলেশন করলেন না। এক্ষেত্রে লকডাউন মানা হলো না। এতে তার ক্ষতি অন্যদের ক্ষতি।

১২. আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে। ৭০০ থেকে ৫হাজার।

১৩. হাত যদি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা এই রোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকবো।

১৪. হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রয়োজন নেই, প্রতি ঘন্টায় হাত ধুলেও কিন্তু একই কাজ দেবে।

১৫. সাবানটা কুড়ি সেকেন্ড হাতে লাগিয়ে রাখতে হবে, ভালো করে কচলে দিতে হবে। এটা হু বলেছে।

১৬. আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাবেন না। সচেতনতাই আগামী দিনের দিশা।

১৭. যে জামা-কাপড় পড়ছেন সেই জামা-কাপড় পারলে সূর্যের আলোয় দীর্ঘক্ষন মেলে রাখুন। তাহলে কিন্তু জীবাণু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

১৮. বয়স্ক যারা এবং যাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু বাইরে বেরোবেন না। তাদের কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

১৯. যারা মোবাইল ব্যবহার করছেন তারা পারলে লাউড স্পিকারে কথা বলুন। বাড়িতে থাকছেন কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

২০. যে হাতটা আপনার বেশি চলে সেটাকে ব্যবহার না করে যেটি কম চলে সেটি দরজা খোলা বা কিছু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। কারণ ওই হাতটা আপনি সাধারনভাবে মুখে দেবেন না।

২১. প্রয়োজনে বাড়ির ছাদে বাড়ির বারান্দায় কিংবা বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারি করুন।

২২. এই মুহূর্তে জনপ্রতিনিধিরা আপনাদের পাশে দাঁড়াবেন এটা আশা করেন। আমরা ৫০ হাজার পরিবারের হাতে চাল, ডাল, মাস্ক, স্যানিটাইজার পৌঁছে দেবো ভেবেছিলাম। আমরা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এই টার্গেট পূর্ণ করেছি।

২৩. ডায়মন্ড হারবার লোকসভার সাতটি বিধানসভার প্রায় ১৮ লাখ মানুষের কাছে আগামী ১২এপ্রিল থেকে ২১টি কমিউনিটি কিচেন চালু করছি। প্রতিদিন ৪০হাজার মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেবে। আমাদের সহকর্মীরা আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন।

২৪. আপনার খাদ্যের কোনও টানাটানি থাকলে একটি নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করবেন। ৯তারিখ সকাল ৯টা থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এই নম্বরে ০৩৩-৪০৮৭৬২৬২। প্রত্যেকদিন ৪০হাজার মানুষকে ১২এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল অবধি খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।

২৫. যতদিন সাংসদ থাকবো, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন বা দেননি তাদের সকলকে আমি বলছি, অসুবিধা থাকলে ফোন করুন পাশে দাঁড়াবো।

২৬. পারলে আপনি দিনে অন্তত একজনের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই লড়াই আমাদের প্রত্যেকের।

২৭. আমি কারওর সমালোচনা করছি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করছি না। থালা বাজিয়ে বা মোমবাতি জ্বালিয়ে আমি করোনার মোকাবিলা করতে পারব না। বরং তার কাছে এক বেলা খাবার পৌঁছে দিলে সে বেঁচে থাকবে, লড়াই করার শক্তি পাবে।

২৭. আপনি যে রাজ্যেরই হোক না কেন আপনি যতক্ষণ ডায়মন্ড হারবারে রয়েছেন ততক্ষণ আপনাদের দায়িত্ব আমার। আপনাদের কোনও সমস্যা হলে ফোন করুন। চেষ্টা করবো সাহায্য করব।

Previous articleকী করছেন দিলীপ?
Next article“কল্পতরু” ঘোষণা করে নজির গড়লেন অভিষেক