Monday, August 25, 2025

অনুমতি সত্বেও ঝাঁপ বন্ধ কলকাতার অধিকাংশ প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের

Date:

লকডাউন পরিস্থিতিতেও মিষ্টি প্রিয় বাঙালি যাতে রসনা তৃপ্তিতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য প্রতিদিন দুপুরে ৪ ঘণ্টা করে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অনুমতি সত্বেও খোলেনি কলকাতার অধিকাংশ প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান। প্রধানত, দুধ ব্যবসায়ীদের লোকসান আটকাতেই মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে দুপুর বারোটা থেকে চারটে সময়সীমার মধ্যে বেশিরভাগ দোকান মালিক মিষ্টির দোকান খুলতে চাইছেন না।

কারণ, লকডাউনের ঘোষণার পরেই কারিগররা নিজেদের বাড়ি চলে গিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তাঁরা এখন কাজে আসতে পারছেন না।
পাশাপাশি মিলছে না কাঁচামালও। সবমিলিয়ে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। তবু যে কটা দোকান খুলছে সেগুলি একেবারেই পাড়ার দোকান।
নামকরা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের মতে, দুপুরে এক ঘণ্টার জন্য দোকান খুললে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম থাকছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন যে দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে যোগান ঠিকমতো আসছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা মিষ্টির দোকানের মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন সম্পূর্ণ না ওঠা পর্যন্ত কলকাতার নামি মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহে পয়লা বৈশাখ। সেই সময়ে বাঙালির পাতে মিষ্টি পড়বে কি না তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আম বাঙালি।

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version