লকডাউন বিধি মানা হচ্ছেনা, কেন্দ্রের চিঠি রাজ্যকে, এই সংকটে রাজনীতি করা ঠিক নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এতদিন লকডাউন বা সোশ্যাল-ডিসট্যান্সিং লঙ্ঘন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ছিলো৷ এবার একই ইস্যুতে রাজ্যকে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগে অভিযুক্ত করলো কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে৷ চিঠিতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় উল্লেখ করে দ্রুত এদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে এবং একই সঙ্গে এ ব্যাপারে রাজ্য কোন ধরনের পদক্ষেপ করছে, তা রিপোর্ট আকারে অতি দ্রুত কেন্দ্রকে জানাতে রাজ্যের এই দুই শীর্ষ আমলাকে জানাতে বলা হয়েছে৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার এক অফিসারের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের বহু এলাকায় লকডাউন তথা সোশ্যাল -ডিসট্যান্সিং বিধি মানা হচ্ছে না৷ একাধিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সির পাঠানো রিপোর্ট কেন্দ্রের হাতে এসেছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার রাজাবাজার, নারকেলডাঙ্গা, তফসিয়া, মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ, একবালপুর, মানিকতলা এলাকায় সোশ্যাল -ডিসট্যান্সিং বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ রাজ্যের বহু সবজি, মাছ-মাংসের বাজারেও সোশ্যাল -ডিসট্যান্সিং বিধি বলে কিছুই নেই৷ নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও পুলিশ অবলীলায় জমায়েত করে কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলতে দিচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারির পাঠানো চিঠিতে একইসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক স্তরের পরিবর্তে বিনামূল্যের রেশন সাধারন মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা৷ বলা হয়েছে, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন এভাবে লঙ্ঘন করার কারনেই পশ্চিমবঙ্গে ‘কোভিড-১৯’ ছড়িয়ে পড়ছে৷ বিশেষত নারকেলডাঙ্গা এলাকায় করোনার প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ভঙ্গ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ রাজ্যকে এদিকে নজর দিতে হবে৷

কেন্দ্রের এই চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেছেন, “রাজ্য বিধি অনুসারেই কাজ করছে৷ এই সংকটকালে, সংকট নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়৷”

Previous articleলকডাউনে নিম্নবিত্তদের খাবার দিচ্ছে আইএনটিটিইউসি
Next articleজন্মদিনে পাওয়া টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান প্রতিবন্ধী কিশোরের