কর্নেল এনএস বল৷ ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনীর কম্যান্ডার। এলিট-২ প্যারা ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।শৌর্য চক্র বিজয়ী কর্নেল এনএস বল বাহিনীতে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।

শুক্রবার দুরারোগ্য ক্যান্সারে মৃত্যু হয় তাঁর। চরমতম সরকারি উদাসীনতায় ছেলের শেষকৃত্য করতে প্রয়াত সেনাকর্তার বাবা-মাকে সড়কপথে যেতে হয় ২৬০০ কিমি। অমৃতসর থেকে বেঙ্গালুরু সড়কপথে গিয়ে ৩৯ বছর বয়সী ছেলের সৎকার করলেন বৃদ্ধ মা-বাবা।

সরকারি অমানবিকতার এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। প্রাক্তন সেনাকর্তাদের অভিযোগ, “শুক্রবার কর্নেল এন বলের বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু হয়েছে। সে সময় তাঁর পরিবার ছিলেন অমৃতসরে। ফলে সৎকার সম্পন্ন করতে মৃতের পরিবারের তরফে বিশেষ সেনা-কপ্টারের পরিষেবা চাওয়া হয়েছিল। যাতে আকাশপথে তাঁরা দ্রুত বেঙ্গালুরু পৌঁছে ছেলের দাহকাজ সম্পন্ন করতে পারে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ফলে বাধ্য হয়েই প্রায় ২৬০০ কিমি সড়কপথে গিয়ে বেঙ্গালুরু পৌঁছে ওই পরিবার সম্পন্ন করে মৃত কর্নেল-পুত্রের শেষকৃত্য।

ওদিকে, সেনাসূত্রের বক্তব্য, “মন্ত্রকের নিয়মে বলা আছে, মৃত সেনাকর্মীর পরিবারকে হেলিকপ্টার পরিষেবা দেওয়া যাবে না৷ হেলিকপ্টারে করে মৃতদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নিয়ম আছে। লকডাউনের কারণে একাধিক সেনা কপ্টার বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যস্ত। পর্যাপ্ত কপ্টার না থাকায় সেই আবেদন খারিজ করা হয়। মৃত কর্নেলের দেহ অমৃতসরে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবার সেই প্রস্তাব খারিজ করে বেঙ্গালুরুতে শেষকৃত্য করতে উদ্যোগ নিয়েছিল”। সেনা সূত্রের দাবি, “নিয়ম ভেঙে কখনই ব্যতিক্রম তৈরি করা যায় না।
এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল বেদ মালিক টুইটে লেখেন, “অত্যন্ত মর্মাহত। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক। শুনে কষ্ট পেলাম ভারত সরকার সহযোগিতা করেনি। নিয়ম তো পাথরে খোদাই করা না। বিশেষ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম পরিবর্তনও করা যায়।” মৃত কর্নেলের ভাই নভতেজ সিং বলের টুইটের জবাবে এভাবে সরব হয়েছিলেন ওই প্রাক্তন সেনা প্রধান।
