করোনাভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে চলছে লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউনের মাঝে সব দোকানপাট বন্ধ। খোলা নেই মদের দোকানও। কিন্তু তাতে কী! মদ না পেয়ে ওষুধে নেশা করে মৃত্যু দুজনের। ঘটনা কাঁথির মারিশদা থানার শিল্লিবাড়ি এলাকার।

সব মদের দোকান বন্ধ থাকায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হল বছর তিরিশের দুই যুবক, ভরত দাস ও পঙ্কজ দাসের। তাদের বাড়ি মরিশদা থানার শিল্লিবাড়ি এলাকায়। লকডাউনের কারণে মদের দোকান বন্ধ থাকায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ওই এলাকার ৪ যুবক। মদের দোকান বন্ধ থাকলেও মারিশদা বাজারের একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান খোলা ছিল। তারা কারও কাছ থেকে শুনে ছিল হোমিওপ্যাথি ওষুধে অ্যালকোহল মেশানো থাকে। ব্যস! যেমন শোনা তেমনি কাজ। শুক্রবার সন্ধে নাগাদ সেখান থেকে তাঁরা একটি ওষুধের বড় ফাইল কিনে আনেন। এরপর বাড়ি ফিরে ওই হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে নেশার বড়ি মিশিয়ে খায় চারজন।
মারিশদা থানার ওসি জানান, ‘রাতে নেশা হলেও শনিবার সকালে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধে চারজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর শনিবার রাতে ভরত ও সঞ্জয় দাসের মৃত্যু হয়।’
