নিজামুদ্দিনের পর কালবুর্গি!!! সরকার কি ঘুমোচ্ছে?

দিল্লির নিজামুদ্দিন কাণ্ডের পরেও বেহুঁশ দেশের সরকার। নিজামুদ্দিনে ৩ হাজার মানুষ বেআইনিভাবে তবলিগি জামাতে এসেছিলেন। ঠিক একই ঘটনা এবার বিজেপি শাসিত কর্নাটকে। রাজ্যের কালবুর্গিতে বিরাট ধর্মীয় সমাবেশ হল, প্রচুর মানুষ এলেন এবং লকডাউন এর সমস্ত রীতিনীতি পুরোপুরি লঙ্ঘন করলেন ধর্মের নামে। রাজ্য সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বেয়াদপির বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।

কর্ণাটকের কালবুর্গি, যেখানে ধর্মীয় সমাবেশটি হয় সেই জায়গাটি করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হটস্পট অর্থাৎ প্রশাসনের নজর থাকবে সবসময়, সেটাই স্বাভাবিক। টহলদারিও থাকার কথা। তা সত্ত্বেও কী করে এত বড় ধর্মীয় সমাবেশ হল? রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া এই ধরণের সমাবেশ হওয়া সম্ভব ছিল না। কালবুর্গি সিদ্ধেশ্বর মন্দিরে বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব হল ধুমধাম করে। কয়েক হাজার মানুষ এই রথযাত্রা উৎসবের অংশীদার হলেন এবং দেদার প্রসাদ বিতরণ হল। কী বলবেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী? লকডাউনে বাইরে না বেরোতে যে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করছেন, তাঁর দলের সরকার থাকা কর্নাটক নিয়ে ‘বাকরুদ্ধ’ কেন? এভাবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্ভব? নাকি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?

Previous articleলকডাউনে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি যাঁদের ক্ষতি হচ্ছে, তাঁদের কথা মিডিয়া বলে না
Next articleসাংবাদিকদের বিমানীতি খতিয়ে দেখুক রাজ্য, কুণাল ঘোষের কলম